পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

खेडद्रकां७ লেন;–"রাম! যথার্থ কথা শুনুন ; হে ঈশ্বর ! হে প্রভু ! কার্য্যোপলক্ষে ব্রহ্মা আমাকে আপনার নিকট পাঠাইয়াছেন। হে পরস্তুপ ! হে দেব ! আমি আপনার মায়াসঙ্গম-সস্তৃত পূর্ব্বজাত পুত্র ; হে বীর । আমার নাম কাল ; আমি সর্ব্ব-সংহারক। সকল দেব-মহর্ষি-পূজিত-ভগবান ব্রক্ষ আপনাকে বলিয়াছেন ;—“হে মহামতে ! আপনার স্বর্গ লোক রক্ষা করিবার সময় উপস্থিত। পূর্ব্বকালে মায়া, বলে সকল লোক সংহার করিয়া একমাত্র আপনিই ভার্য্যা-সহ বর্ত্তমান ছিলেন । আদিতে আমাকে ও ভোগবান জলশায়ী অনন্ত-নাগকে পুত্র রূপে উৎপাদন করিয়াছিলেন। হে পুরুষোত্তম ! অনন্তর মায়া দ্বারা মহাবল পরাক্রান্ত মধুকৈটভ নামক দৈত্য স্বয়কে উৎপাদনপূর্বক তাহাদিগকে বধ করিয়া তদীয় মেদ ও অস্থি সঞ্চয় দ্বারা এই পর্ব্বত-সম্বন্ধ মেদিনী নির্ম্মাণ করেন। অগ্রেই স্থর্য্য সমপ্রভ দিব্য নাভি-পদ্মে আমাকে উৎপাদন করিয়াছিলেন ; যখন আমাকে প্রজাগণের অধিপতি করিয়া সমস্ত ভার আমার উপর ন্যস্ত করেন। হে জগৎপতে । আপনি আমাকে এইরূপে ভার দিয়াছেন ; আমি তখন আপনাকে বলিয়াছিলাম ; যাহারা আমার প্রজাগণকে দুঃখিত করে ; তাহাদিগের হস্ত হইতে প্রজাগণকে রক্ষা করুন। অনস্তর, সাক্ষাং নারায়ণ আপনি, কগুপ হইতে বামনরূপে অবতীর্ণ श्रैष्ट्र ब्राशनशरभंद्र नूौकब्र१ इाबा फूडाब श्छन করেন। হে ধরণীধর ! সকল প্রজা উৎসন্ন হইতে থাকিলে, পূর্ব্বে আপনি মর্ত্ত্যলোকে দশ সহস্র ও দশ শত বৎসর অবস্থিতি করিতে দেবগণের সম্মুখে প্রতিজ্ঞারূঢ় হইয়া রাবণ বখাভিলাষে মনুষ্যলোকে অবতীর্ণ হন। আপনার সেই অভিলাষ পূর্ণ হইয়াছে। এবং মনুষ্যলোকে প্রতিজ্ঞাত অবস্থিতি কালও পূর্ণ; এক্ষণে আমি কাল, তাপসরূপে ভবদীয় সমীপে উপস্থিত হইয়াছি । ইহার পরেও যদি পুনরায় রাজ্য শাসন করিতে মন থাকে, তাহ হইলে তাহাই করুন, আর হে জিতেন্ত্রিয়! যদি দেবলোক-গমনে মতি হইয়া থাকে, তাহা হইলে দেবগণ, বিষ্ণু সনাথ হটস্থ নিরুদ্বেগ হউন, “ব্রহ্মা এই কথা বলিয়াছেন।” রাম, কাল-কথিত চতুর্মুখের বাক্য শ্রবণ করিয়া হাসিতে হাদিতে সর্ব্ব-সংহারক কালকে বলিলেন ;—“আমি আজ তোমার কথা শুনিলাম ; আমারও তাহ অতিশয় অভিলষিত জানিবে। আমি তোমার আগমনে পরম সন্তুষ্ট হইলাম। ত্রিলোকের কার্ধ্য-সিদ্ধির জন্তই আমার >8 উৎপত্তি । তোমার মঙ্গল হউক ; আমি যেখান হইতে আসিয়াছি অবিলম্বে সেইখানে প্রতিগমন করিব । আমার মনোরথ পূর্ণ হইয়াছে ; এখন আর এ বিষয়ে দ্বৈধ নাই । হে পুত্র ! প্রজাপতি, যাহা বলিয়াছেন, তদনুসারে, আমি "মায়াযোগে মদীয়সেবক দেবগণের সকল কার্যো উদ্যোগী থাকিব ।” তাহারা উভয়ে এইরূপ কথোপকথন করিতেছেন, ইত্যবসরে দুর্ব্বাসামুনি রাখলকে সাদরে অবলোকন করিবার জন্তু রাজদ্বারে উপস্থিত হইলেন । দুর্ব্বাস মুনি লক্ষণের নিকট আসিয়া বলিলেন ;—“শীঘ্র রামের সহিত সাক্ষাৎ করাইয়া দেও ; আমার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কার্য্য” আছে । সৌমিত্রি, তাহ শুনিয়া অগ্নি-তুল্য তেজষ্ঠ মুনিকে বলিলেন;–“এখন আপনার রামের নিকট প্রয়েজন কি ? আপনার অভিলমিত কি বলুন ; আমি সম্পাদন করিতেছি । ও রাজা, কার্য্যন্তরে বাগ্র আছেন মুহূর্ত্তমাত্র প্রতীক্ষা করুন" মুনি তৎ শ্রবণে ক্রোধ-সত্তপ্ত হইয়া সৌমিত্রিকে বলিলেন;– “সৌমিত্রি! এইক্ষণেই যদি তুমি প্রভুর সহিত সাক্ষাৎ করাইয়া না দেও, তাহ হইলে সরাজ্যরামকে এবং এই কুলকে ভস্ম কবি ; সংশয় নাই ।” লক্ষ্মণ, দুর্ব্বাস ঋষির অত্যন্ত নিদারুণ সেই বাক্য শ্রবণ এবং সেই বাক্যের স্বরূপ চিন্তা করিয়া নিশ্চয় করিলেন, “সকলের বিনাশ অপেক্ষ একের বিনাশ বরং ভাল।" অনন্তর, রামকে সেই সংবাদ প্রদান করিলেন । সৌমিত্রির কথা শুনিয়া রাম, কালকে বিদায় দিলেন ; এবং শীঘ্র নিৰ্গত হইয়া মুনিবর অত্রিতনয়কে অবলোকন করিলেন। রাম, মুনিকে অভিবাদন করিয়া অতি প্রতিভরে, সাদরে কুশলাদি জিজ্ঞাসা করিলেন । অনস্তর “আমি আপনার কি কার্য্য করিব ?" ইহা রঘুবর, মুনিকে বলিলেন। রামের সেই কথা শুনিয়া দুর্ব্বাসা তাহাকে বলিলেন ;–“অদ্য সহস্র বর্ধ-উপবাস সমাপ্তির দিন। অতএব হে রঘুবর! তোমার গৃহে সিদ্ধান্ন ভোজন করিতে ইচ্ছা করি । রাম, মুনির বাক্য শ্রবণ করিয়া সন্তোষ সহকারে তঁাহাকে উচিত মত সিদ্ধান্ন প্রদান করিলেন। মুনি, সেই অমৃততুল্য অন্ন ভোজন করিয়া সন্তুষ্টচিত্তে গমন করিলেন । তিনি নিজ আশ্রমে গমন করিলে, রাম, কালের প্রতিজ্ঞাপিত কথা স্মরণ করিলেন । তখন রাম-শোকদুঃখে কাতর, বিমম, অতি বিহ্বল, অধোমুখ ও দীন চিত্ত হইয়া কোন কথা বলিতে সমর্থ হইলেন