বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অধ্যাত্ম রামায়ণ - মহেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-৬৪ আদিকাণ্ডে সপ্তম অধ্যায়। বিষ্ণু তুমি এই রাম অবতার । উদয় হইলে প্রভূ ভজনে ব্রহ্মার ! তোমার স্থাপিত তেজ ওহে নারায়ণ । এই দেখ তব দেহে হতেছে মিলন । সস্তাব সংযুক্ত হও জমাবধি তুমি । সত্য জ্ঞ নাম্বিত হও জানে সর্ব্ব মুনি । নির্ব্বিকার হও তুমি পুর্ণ সর্ব্ব ক্ষণে চলাচল নাহি তবু স্থিতি ত্রিভুবনে কাষ্ঠ মধ্যে যথা অগ্নি জলে যথা ফেন। সেই রূপ তুমি ব্যাপ্ত ইহ পর্যন্ত্রণ । তোমার আশ্রিত ময়া স্বজন কারিণী ! করেন সকল কর্ম্ম তরাভিলাষিণী । সে মায়ায় যাবৎ মোহিত লোক থাকে। তাবৎ তোমারে কেহ কভু লহি ডাকে অবিদ্যা হইতে সেই মায়ার উদ্ভব। বিদ্যার বিরোধি সেই অজ্ঞান সম্ভব । অবিদ্যা হইতে এই দেহের উদ্ভব। স্বষ্টি স্থিতি লয় সর্ব্ব তাঁহাতে সম্ভব । তবচিৎ শক্তি লোকে জীব রূপে স্থিত। অতএব তুমি জীব লোকেতে নিশ্চিত যদবধি দেহে মন প্রাণ বুদ্ধি আদি । অভিমানে বশীভূত হয় দেহাগ্রাদি । তদবধি তাহদের কর্তৃত্ব ভোক্তৃত্ব । সুখ দুঃখ মানি হয়ে ভূঞ্জয়ে স্বকৃত। পরমাত্মা নাহি হন কদাপি ংশ্রতি। জ্ঞান বুদ্ধি যেই রূপে নহে এক রীতি । বুদ্ধ্যাদি হইয়। যুক্ত অবিবেক সনে। সংসারেতে প্রৰক্ত করায় সর্ব ক্ষণে । চিদাত্মা হইয়া যুক্ত ষত দেহে হরি। মিলিত হইয়। চিত্তে বুদ্ধি বৃত্তি ধারি । চিৎ, রূপ জ্ঞান তুমি জড় রূপা জ্ঞান | জড় সংজ্ঞা