পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক y owტ লৌহরূপকে ধ্যান করে আমরা পাই না, কিন্তু যখন দেখি টুকরো টুকরো লোহা তার দিকে ছুটে আসছে তখনই বুঝি যে সেই লোহ চুম্বকে পরিণত হয়েছে। তেমনি আমাদের অন্তর্জীবনের যথার্থ পরিচয় আমরা পাই তখনই এবং সেইটুকুতেই যেটুকু দিয়ে আমরা আমাদের ' চতুষ্পার্শ্বস্থ প্রাকৃতিক লোকের মধ্যে বা নরসমাজের মধ্যে আমাদের বিশিষ্ট সত্তা ও বিশিষ্ট রূপ প্রতিফলিত করতে পারি। সেইভাবে । প্রতিফলিত হ’লে তবেই তা পড়ে আমাদের নজরে, তখনই করি তাকে আবিষ্কার । নইলে, কেবল ধ্যানস্থ হয়ে পরিস্পন্দমান আত্মস্বরূপকে তার স্বাভাবিক জ্ঞান বল ক্রিয়ার মধ্যে প্রত্যক্ষ করতে পারি না। আমাদের আমরা যতটুকু পরিমাণে আবিষ্কার করতে পারি - ততটুকু দিয়েই আমরা বহিলোককে আবিষ্কার করি এবং বহিলোককে যতটুকু আমরা আবিষ্কার করি ততটুকুতেই আমরা অন্তলোককে আবিস্কার কবি ।” মঞ্জরী একটু গম্ভীরভাবে বল্লে—“তোমার কথা আমি একটুও বুঝতে পারছি না । সকলেই এ কথা বলে থাকে যে প্রেমের দ্বারাই আমরা আমাদের আবিষ্কার করি । কোনও নারীর নিকট সর্ব্বস্ব দান করে তাকে ভালবাসলে তারই ভালবাসার মধ্যে পুরুষ পায় তার চরম সার্থকতা, সেইখানেই সে পারে তাকে যথার্থভাবে আবিষ্কার করতে ।” কানাই হেসে বল্লে—“দেখ, শোনা কথার কোনও সীমা করা যায়, না, কার কাছে কি শোনা গেল সেটা নিয়ে কোনও জিনিষের স্বরূপ বিচার করা যায় না। বিচার করতে হয় নিজের অমুভবের সাক্ষিত্বে । এই অমুভবের মধ্যে একদিকে থাকে বুদ্ধির তীক্ষতা, অপরদিকে থাকে ভাবের গাঢ়তা এবং এই উভয়কে মিলিত করে আমাদের কর্ম্মোন্মুখত,