পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S s 8 অধ্যাপক আমাদের প্রবৃত্তির স্পনামানতা । স্ত্রীপুরুষের ভালবাসার মধ্যে মিশ্রিত হয়ে থাকে একটা আদিম দৈহিক কামনা, সেটা পশুসাধারণ এবং জৈবপ্রকৃতিক । তাই তা ব্যাপক । তা থাকে সমস্ত জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে, তা উদ্বুদ্ধ করে আমাদের জৈব প্রবৃত্তিকে। কিন্তু মানুষের মধ্যে জৈব প্রবৃত্তি একমাত্র প্রবৃত্তি নয় । মানুষের মধ্যে এমন প্রবৃত্তিও রয়েছে যার প্রভাবে কোনও একজন পুরুষ বা নারী উভয়ের অধ্যাত্ম সত্তাকে এমন করে’ এক বলে’ মনে করতে পারে যে নিজের জীবনকে অপরের উপকরণরূপে ব্যবহার করতে দিয়ে নিজেকে সার্থক মনে করে । একটা নদী যেমন ঢালু পথে অপর একটি নদীর সহিত মিলিত হয়ে পরস্পরকে পরস্পরের উপকরণ করে’ তুলে মহাকল্লোলে ধাবিত হয় সাগরের দিকে, তেমনি একটি চিত্ত চায় অপর একটি চিত্তের সহিত মিলিত হ’তে । কিন্তু চিত্ত ত জড়পদার্থ নয় যে দৈশিক কোনও ংযোগে একটি চিত্ত অপর চিত্তটির সহিত মিলিত হ’তে পারে । তাই একটি চিত্ত খোজে অপর চিত্তটির বিকাশের তাৎপর্য্য । এই বিকাশের তাৎপর্য্য খুজতে গেলে নিজের চিত্ত দিয়ে তাকে বাধা দিলে চলে না, দিতে হয় নিজের চিত্তকে উন্মুক্ত করে', ধরতে হয় এমন করে’ তাকে তার কাছে যাতে একের চিত্ত অপরের কাছে ক্রমশঃ ক্রমশঃ আবিষ্কৃত হয় । দু’টি চিত্তই চলেছে আপন আপন বৃদ্ধির পথে, তাই পরস্পরের কাছে পরস্পরের আবিষ্কার ছুটে চলেছে একটা অসীমার দিকে। ক্রমশ: মিলিত হয়েও থাকছে তাদের মধ্যে দূর এবং অন্তরাল, তাই তাদের পরস্পরের আবিষ্কারের চেষ্টারও চলেছে একটা অসীমার দিকে গতি । এই গতির মধ্যে একদিকে তারা পাচ্ছে পরস্পরের চিত্তের পরিচয়, অপরদিকে উজ্জল হয়ে উঠছে এই পরিচয়প্রাপ্তির আনন্দ । প্রত্যেক পরিচয়েই অনুভব করছে একটি চিত্ত আপন