পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ما ما لا ওড়াবার জন্য চেষ্টা করতে লাগল ততই মঞ্জরীর মন আসতে লাগল কঠিন হয়ে । সন্ত্রমের যে ছায়াটুকু পড়েছিল তাও আসতে লাগল ক্রমশঃ ক্ষীণ হয়ে । সে মনে করতে লাগ ল যে এ সব কতগুলি ফাকা আওয়াজ মাত্র । যতই তর্কের রন্ধ থেকে সে কোনও প্রবেশপথ পেল না ততই সে অহুভব করতে লাগল যে ঐ জমাট তর্কগুলি একটা নিরেট দেওয়ালের মত, কোনও এক স্থান থেকে এনে কানাই ওগুলিকে জুড়ে দিচ্ছে কথার সঙ্গে কথাগুলিকে ভারীক্কি কবে তোলবার জন্য । ওগুলি সত্যও নয়, বাস্তবও নয়। সাধারণবৃদ্ধির মেয়ের প্রায়শঃই অতি বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের, কিংবা যারা নিরস্তুর কাজ-পাগলা হযে ঘোরে তাদের প্রতি প্রীতিসম্পন্ন হয়ে উঠতে পারে না, তা সে কাজ মে জাতীয়ই হোক না কেন । যে সর্ব্বদা পড়াশুনা বা গ্রন্থলেখা নিয়ে ব্যস্ত, কিংবা রাষ্ট্রনৈতিক ক্ষেত্রে কোথায কি বক্তৃতা দিয়ে প্রতিপক্ষকে পরাজিত করবে, কিংবা তীব্রভাষায় কেমন করে সরকারপক্ষকে অপদস্থ করবে, কিংবা দেশের নানাবিধ হিতকর অনুষ্ঠান কি করে’ গড়ে’ তুলবে, কিংবা ব্যবসাতে প্রচুর ধন কি করে’ উপার্জন করবে এই চিন্তায় নিয়ত ব্যস্ত, মেয়েরা তাদের কাছে থই পায় না এবং নিজেদের তাদের কাছে অনাদৃত বলে মনে করে এবং তাদের ভালবাসা বুঝতেও অক্ষম হয় । এই সব শ্রেণীর লোক গ্যাতি বা প্রতিষ্ঠা লাভ করলে হয় ত তাদের প্রতি মেয়েদের একটু সন্ত্রম জন্মাতে পারে, কিংবা তাদের আত্মীয় তার গর্ব্বে নিজেরা গবিরত হয়ে উঠতে পারে, কিন্তু তাদের তার আপন মনের মামুষ বলে’ সহজে মনে করতে পারে না । তাদের তপস্যার উত্তাপ মেয়েদের হৃদয়কে করে আনে শুষ্ক । চটুল বুদ্ধিতে চতুরভাবে ষার নানা বিষয়ে দক্ষতার সহিত কথা চালাতে পারে এবং প্রতি কথার ইঙ্গিতে ও চাতুর্য্যে বেশ আসর জমিয়ে নিতে পারে, চারিদিকে