অধ্যাপক , ఫ চারিদিকে দুর্দ্দান্ত হয়ে ফেরে, সরল, স্বচ্ছ, হান্তোজ্জল । প্রভার মা বিধবা মানুষ, প্রায়ই পূজা-অৰ্চ্চায় থাকেন । মনের পটভূমি সেকাল ও একালের মাঝখানে । প্রভা দেবী দেখতে সুন্দরী, ছিপৃছিপে গড়ন, চক্ষু আয়ত, নাসিক পরিস্ফুট ও দীর্ঘ, যৌবনের সীকতায় পুষ্পস্তবকাবনম্র লতার ন্যায পেলব ও স্বকুমার, বৃদ্ধির দীপিতে চোখ দু’টি , উজ্জল অথচ শাস্ত । আজ জন্মবাসরের উংসবে বৈকালিকের জন্য প্রভা নিমন্ত্রণ করেছে সুজাতাকে । প্রভার মাত অম্বুজাসুন্দরী নিমন্ত্রণ করেছেন তার স্বামীর বন্ধুর ছেলে অজয়কে । অজয় অনেকদিন বিলেতে ছিল, তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী মা পেয়ে এবং আই-সি-এস-এ দু’একবার অকৃতকার্যা হয়ে ব্যারিষ্টারির সনদ হাতে করে দেশে ফিরে এসেছে। পিতার ক্ষয়িষ্ণু বিস্তুেব দিকে চেয়ে ও নিজের বিত্তোপার্জন-সামর্থ্যের একান্ত হতাশ্বাসে ছেলেটি বিপর্য্যস্ত হয়ে পড়েছে । কোনও একটি শুভ সংযোগের দ্বারা অপচীয়মান বিত্তকে হঠাৎ উপচিত করে’ তোলবার জন্য ইনি নিরস্তরই নানা স্থানে রন্ধ খুজছেন । বেশভূষায় ইনি পূরা সাহেব । বেশভূষার নৈপুণ্য ও পারিপাট্যের দিকে এর দৃষ্টি সর্ব্বদা তীক্ষু । ট্রাউজারের ভাজটি সর্ব্বদা এমন সযত্বে রক্ষিত যে সব সময়ই মনে হয় যেন সদ্য রাজকসংস্কৃত । চুলগুলি back-brush করা। টাই, কলার, সমস্ত নিখুঁতভাবে ফিট্ফাট । ধূম ও তরল-দ্রব্যের প্রতি এর তুল্য আসক্তি। আদবকায়দা সমস্তই বিলিতি ধরণের। পিতা, পিতামহ, সকলেই ডেপুটিগিরি করে এসেছেন, সেইজন্য এর ধমনীর রক্তে ইংরেজ সরকারের প্রতি একটা অকৃত্রিম প্রতি ও বশ্বতা সর্ব্বদা প্রবাহিত হচ্ছে। অথচ, ইনি নিজেকে একজন পেটিয়টু' বলে মনে করেন । নিজের বুদ্ধির প্রতি অসীম শ্রদ্ধা এবং প্রত্যেক কথাতেই প্রায় বিলিতি
