পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩২ অধ্যাপক যীশুখৃষ্টের জীবনের ছবি ও বাণী সমস্ত ইউরোপথগুকে আপ্লাবিত করে’ তুলেছিল তখন চিত্রীরা, ভাস্করেরা তাদের বিষয়বস্তু আহরণ করতেন যীশুখৃষ্টের জীবনের চিত্র থেকে । বৌদ্ধযুগে ভারতবর্ষের চিত্রী ও ভাস্করের আঁকতেন জাতকের গল্প ও বুদ্ধের জীবন । এইখানে আমরা পাই রুচির দ্বিতীয় বাণী । এই বাণী চিত্রীকে, কবিকে, শিল্পীকে বলে’ দেয় কি সে অঁাকবে, কি সে বলবে । এই বুদ্ভিটি থাকে অভিন্ন হয়ে চিত্রীর সমগ্রপুরুষীয় অনুভবের সহিত, তার দরদের সহিত, তার হৃদয়ের স্রোতের সহিত । কাজেক্ট, ভারতবর্ষের রুচির সহিত ইউরোপীয় রুচিবোধের বৈষম্য আছে কি না বিচার করে দেখতে হয় । “রুচি” শব্দের যে এই দু’টি অর্থ দেওয়া গেল, এই দিক থেকে বিচার করলে দেখা যায় ভারতবর্ষ ও ইউরোপের পারস্পরিক স্থান কোথায়, ভারতবর্ষ যা প্রকাশ করতে চেয়েছে তা প্রকাশের যোগ্য কি না ও ভারতবর্ষ তা প্রকাশ করতে পেরেছে কি না । ভারতবর্ষ চায় তার আনন্দের উৎসবে সমস্ত পাড়াপড়শী, আত্মীয়, অনাত্মীয়, দীন দবিন্দ্র সকলে যোগ দেবে, সেটা হবে একটা সর্ব্বজনীন ব্যাপার। আমাদের ভেবে দেখতে হবে এটা প্রকাশের যোগ্য কি ন! আবার এও দেখতে হবে যে সেটা প্রকাশ পেয়েছে কি না । আমাদের এত দারিদ্র্যের মধ্যে, অসচ্ছলতার মধ্যে দ্বিপ্রহর বলে অপরাহ্লে যাদের আমরা খাওয়াই তারা আমাদের আনন্দে যোগ দেয়, না দুঃখিত হয়ে চলে যায়। কলাপাতায় খেতে দিলাম বলে’ তারা কি অসম্মানিত বোধ করে ? আমাদের হৃদয়ের স্বচ্ছন্দ নিবেদন যদি তারা তেমনি অন্তরের সঙ্গে সকলে গ্রহণ করেছে বলে আমরা দেখতে পাই তবে মনে করে’ নিতে হবে যে আমরা যা প্রকাশ করতে চেয়েছি তা প্রকাশ