পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 이 এথনো বটবৃক্ষের মায়া ছাড়েন নি । তার প্রমাণ এই যে বড় বড় বনস্পতি যেমন উদ্ধ থেকে উৰ্দ্ধে উঠে যায়, বটবৃক্ষে তার পরিচয় পাওয়া যায় না । সে যত বাড়ে ততই থাকে তার চারিপাশের মাটিকে ছায়াচ্ছন্ন করে । প্রতি শাখা থেকে তার মূলকে সে প্রসারিত করে মাটির দিকে, মাটির রসের জন্য তার লোভ দুৰ্নিবার । সমস্ত বটগাছটির চারিদিক থেকে ঝুলে পড়েছে অসংখ্য শিফাগুচ্ছ । মেয়েটি ছুটতে ছুটতে এসে বটগাছটির সামনে দাডাল এবং তার আয়ত চক্ষু বিস্তৃত করে’ বলে উঠল—“বাস রে ! কত বড় বটগাছ ! কতদিকে ছড়িয়েছে এর ডাল, চারিদিক দিয়ে অসংখ্য ঝুড়ি গেছে নেমে মাটি থেকে রস টানবার জন্যে ! মাটির রসে এর এত মমতা !” এই কথা বলে আবার গুন গুন করে’ গান ধরলে— মাটির সাথে নিত্য তোমার মূল রয়েছে বাধা তবে কেন নিত্য তোমার এতই ওঠে ভয় ? উঠতে গিয়ে উঠতে নার, পাও যে পরাজয় ! মন রয়েছে নিত্য তোমার যেথায় মাটির কাদা । তাই ত বুকের পাজরগুলি ডাইনে বায়ে ঘিরে নেমে আসে শিকড়গুলি মাটির কাছে ধীরে । সেথায় তারে মনের মতন কতই চুমা খেয়ে পশে গিয়ে যেথায় রসের স্রোত চলেছে বেয়ে’ ! উঠতে তুমি চাও না দূরে যেথায় মহাকাশ, এই ভুবনের সাথে তোমার নিত্য মহারাস । উৰ্দ্ধ হ’তে উৰ্দ্ধ লোকে উঠতে নাহি চাও, মাটির পরে থেকে তুমি মাটিরই গান গাও।