পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ১৩৩ অজয় আবার বল্লে—“লোক খাওয়ানোর সঙ্গে ছবি অঁাকার কি যে সম্পর্ক তা আমি কিছুই বুঝতে পারলুম না। A feast is a social affair, an artist’s job is quite different.” কানাই হেসে বল্লে—“দুটোর মধ্যে যত তফাৎ আপনি মনে করছেন বাস্তবিক ততটা তফাৎ নেই । মানুষের মধ্যে দুটো বৃত্তি প্রধান হয়ে কাজ করে, একটা বহিলোক থেকে গ্রহণ করা, আর একটা তাকে প্রকাশ করা । এই প্রকাশ আমরা করি ভাষায়, রঙে, ব্যবহারে । মেয়ের বিয়ে দিলুম, দিয়ে মেয়ের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে নিশ্চিন্ত হলুম, তাকে সুখী করলুম, এই আনন্দটা আমরা ব্যক্ত করতে চাই, সমাজের সকল লোককে তার একটু ভাগ দিতে চাই । তাই আমরা বাড়ী বাড়ী গিয়ে করযোডে নেমস্তন্ন করে’ আসি যেন তারা আমার বাড়ীতে পদার্পণ করে আমাকে কৃতার্থ করে । এটা আমারই দেবার গরজ । এইভাবে রিক্তবিত্ত হয়ে আমি আমাকে সার্থক মনে করি । কাব্যের মধ্যেও কবি র্তার আত্মভাবকে প্রকাশ করে’, ব্যক্ত করে তা দশজনকে শুনিয়ে আপনাকে সার্থক জ্ঞান করেন । কাজেই প্রকারের ভেদ হ’লেও মূলতঃ শিল্পীর কাজের সঙ্গে এই সামাজিক উংসব ব্যাপারের একটা বিশেষ সাদৃশু আছে এবং যে নিয়ম দিয়ে আমরা শিল্পের বিচার করি সেই নিয়ম দিয়ে আমরা সামাজিক এইসব উৎসব ব্যাপারেরও বিচার করতে পারি ।” যতক্ষণ কানাই কথা বলছিল ততক্ষণ বিস্মিত নির্নিমেষ দৃষ্টিতে সুজাতা ছিল তার দিকে চেয়ে । প্রথমে ভাবছিল যে কথাগুলো বলছে ভাল, কিন্তু অবাস্তর হচ্ছে, কিন্তু ক্রমশঃ যখন দেখতে লাঙ্গুল সহজ সাবলীল ভঙ্গিতে অতি অনায়াসে সে একটা দুৰ্গম জটিল সমস্যার এমন একটা ব্যাপক জবাব এনে দিলে তখন সুজাতা অকুভব করল যে