পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S6 a অধ্যাপক গুটিকত অৰ্দ্ধশিক্ষিত, চতুর, কুশলী, ফিচেলী-বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিরা । তার চালিত হচ্ছে ধনিকদের ইঙ্গিতে। এই ধনিকদের ক্ষুধা বিপুল । তারা স্থাপন করেছে ধনের মর্য্যাদা এবং ধনস্থাপনের জন্য বলের মর্য্যাদা । সেই নিয়মে তারা গড়ে তুলছে তাদের সমাজ, তাদের রাষ্ট্র, সেই নিয়ম ব্যবহার করছে তারা বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে সন্ধি ও বিগ্রহের নীতিতে, শত শত দেশের জাতিকে করছে পরাধীন, সকল দেশের ধনাহরণ করে করছে নিজেদের উদরের পরিপূর্তি। ধন কেড়ে নিয়ে ধনবিলাসের মর্য্যাদা দিয়েছে বাড়িয়ে, বিদ্যা, চরিত্র ও ধর্ম্মের মর্য্যাদা দিয়েছে কমিয়ে । এই বিষাক্ত বায়ুতে তারা পূর্ণ করেছে ভারতবর্ষের আকাশ । এইখানেই হচ্ছে ইংলণ্ডের সঙ্গে আমাদের দ্বন্দ্ব, সমগ্র ইউরোপের সঙ্গে আমাদের দ্বন্দ্ব ।” স্বজাত আবার জিজ্ঞাসা করলে—“আপনি কি মনে করেন যে আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ মনীষীদের মত অনুসারে আমাদের দেশের লোক চলত ?” কানাই বল্লে—“তা কি কখনও সম্ভব হয় ? কিন্তু তথাপি একথা বলতেই হবে যে আমাদের দেশের নিম্নতম ব্যক্তির মধ্যেও আমাদের মনীষীদের উপদেশ এমনভাবে সংক্রমিত হয়ে গিয়েছিল যে তাদের ব্যবহারের মধ্যে তাদের বাক্যের একটা প্রতিধ্বনি পাওয়া যেত । ব্যক্তিগত দুর্ব্বলতার জন্য যেখানে তারা তা পালন করতে পারত না সেখানে তারা মনে করত যে তারা আদর্শ থেকে ভ্রষ্ট হচ্ছে, অধর্ম্ম করছে। কাজেই, আদর্শের দিক দিয়ে সমগ্র দেশের মধ্যে একটা ঐক্য ছিল । আজও তার পরিচয় পাওয়া যায় নিরক্ষর চাষীদের মধ্যে । আদর্শহীনতার যে পরিচয় পাওয়া যায় তা প্রধানতঃ ইংরেজীশিক্ষিতদের মধ্যে । আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের দিকে তাকালে এর