পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Qやり অধ্যাপক সভায় দেখা হয়েছে, হোক না সে বুদ্ধিমান, বলশালী, বিচক্ষণ, তারই কথা বার বার মনে পড়বে এমন অশৃঙ্খল হবে কেন তার মন ? অনেক জোর করে’ মনে আজে-বাজে জিনিষ সে ভাবতে লাগল। ভাবতে লাগল, ধানের ক্ষেতে চরে বেড়াচ্ছে একদল ভেড়া । আরও কত কি ভাবতে ভাবতে শেষে পড়ল ঘুমিয়ে । রাত্রির তৃতীয় প্রহরে সে হঠাৎ কি একটা স্বপ্ন দেখে জেগে উঠল—যেন কে একটা কালো লোক তার বিরাট দুই বাহুতে তাকে গ্রহণ করে একখানা নৌকোয় চড়িয়ে ভাসিয়ে দিয়েছে তাকে স্রোতের টানে কোন মহাসাগরের দিকে । নিজের দিকে তাকিয়ে সে দেখলে তার পরণে চেলির কাপড়, কপালে সিন্দূর । ঘুম ভাঙার পর আবার সেই চায়ের বৈঠকের ছবি তার সামনে ভেসে উঠল । সে রাত্রে আর তার ঘুম হ’ল না । ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ ক’দিন ধরে সুজাতা বড় কারও সঙ্গে মেশে না, এমন কি মঞ্জরীর সঙ্গেও নয়। সে এম.এস.সি পাশ করেছে, লেখাপড়ার জীবনের চলতি গণ্ডীটা সে পার হয়েছে। এর পর যে কি করতে হবে তার কোনও সুস্পষ্ট ধারণা তার মনে নেই। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গতির কেন্দ্র চারটি ষ্টেশনে বিভক্ত । পাহাড়ের উপর থেকে রেল লাইনের উপর ট্রলি ছেড়ে দিলে সে আপন গতিতে ষ্টেশনের পর ষ্টেশন অতিক্রম করে সমতলক্ষেত্রে এসে দাড়ায় । সেখানে আর ঢালু নেই, তাই তার গতি যায় থেমে। তেমনি আমাদের দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে ম্যাটিকুলেশন থেকে রওনা হয়ে এম্-এ বা এম.এস.সি পর্য্যস্ত ছেলেরা অনায়াসে গড়িয়ে