পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক به این نام হ’তে থাকে । তেমনি মুজাতার অন্তরে ছিল দুৰ্দ্ধমনীয় শক্তি এবং সেই শক্তি জাগ্রত করেছিল শক্তির চেতনাকে, কিন্তু পথ ছিল তার অবিজ্ঞাত। এ সেই শক্তি, যে শক্তি আপনার মধ্যে আপনি উপচিত হ’তে থাকে এবং পরিশেষে আপনার বেগে সেতু, বাধ চূর্ণ করে প্রবাহিত হয় দুর্দ্দাম বেগে গিরিদরীকন্দর চূর্ণ করে’, অপেক্ষা করে না কোনও খাল-কাটা ইঞ্জিনিয়ারের । কৈশোরে ও যৌবনোন্মেষের প্রাগৃদশায় সুজাতার বাবা তাকে নানা বিষয়ে নানা শিক্ষা দিতেন । আমরা নানা লোকের কাছে যে নানা শিক্ষা পাই, নানা বই থেকে যা আহরণ করি, জলশ্রোতের ন্যায় তা সবই প্রায় যায় ভেসে, কদাচিৎ কোনও একটা কথা এমন একটা রসের সঙ্গে হৃদয়ে গ্রথিত হয়ে যায় যে তা হয়ে থাকে চিরকালের সম্পত্তি । সুজাতার বাবা সুজাতাকে শেখাতেন ‘আত্মানং বিদ্ধি', নিজেকে জান, নিজেকে জানলেই সমস্ত জানার ফল পাবে । কথাটার সে ভাল করে’ অর্থ বোঝে নি । অনেকবার কথাটা ভেবেছে কিন্তু তার তাৎপর্য্য বুঝতে পারে নি। তবু কথাটা নিয়েছিল মূল তার হৃদয়ের মধ্যে । যখন সে কানাইয়ের কাছে শুনল যে আমাদের চরম সার্থকতা হচ্ছে নিজেকে প্রকাশ করবার মধ্যে, তখন অবচেতনার কি এক সূক্ষ্ম গতিতে এ কথা গিয়ে মিলিত হ’ল তার পিতার কথার সঙ্গে ; বাবা বলেছেন,—নিজেকে জান, এ ভদ্রলোক বলছেন, — নিজেকে প্রকাশ কর । সে ভাবতে লাগল—নিজেকে জানব তবে প্রকাশ করব, না নিজেকে প্রকাশ করব তবে নিজেকে জানব ? সে আরও ভাবতে লাগৃল—জানছি ত আমরা কিছু না কিছু সকল সময়েই, কিন্তু সে কতটুকু ? সে সত্য না মিথ্যা ? সে স্বন্দর না অসুন্দর ? আর জানারও ত কোনও শেষ নেই । সমস্ত জানা শেষ হবে, তবে