পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক Sఙ) প্রকাশ করতে আরম্ভ করব এ ত একটা অসম্ভব ব্যাপার । তা ছাড়া, কেবল জানা দিয়ে যদি নিজেকে পূর্ণ করতে থাকি তবে আত্মপ্রকাশের যে বৃত্তি, যে পথে মনের শ্রোত বেরিয়ে আসবে বাইরের জগতে, সে পথ যাবে শেওলায় আচ্ছন্ন হয়ে, আত্মপ্রকাশ হবে অসম্ভব। এজন্য তার মনে হ’ল—যা বুঝি, যা নিজের কাছে সৎ এবং সাধু বলে মনে হয়, তাকে যদি প্রকাশ করতে চেষ্টা করি, মনের ভাণ্ডে যা জমে' ওঠে তা যদি ঢেলে দিই বাইরের জগতে, তবেই মনের সেই ভাও পূর্ণ, হয়ে উঠতে থাকবে নব নব রসে, নব নব চেতনায় ও নব নব উদ্যমে । কিন্তু তখনই প্রশ্ন এল—কি প্রকাশ করব ? দৈনন্দিন কথাবার্তায় বন্ধুদের কাছে যে সমস্ত আলাপ আলোচনা ঘটে তার মধ্য দিয়ে নিজের সমস্ত সত্তাকে প্রকাশ করা যায় না, সেগুলো যেন শ্রোতে-ভাসা ফুল, সেগুলোকে বাইরে নিক্ষেপ করলে স্রোতের পথ উন্মুক্ত হয় না । কথায় যা প্রকাশ করতে হবে তার সামগ্রী যখন অতি কম তখন নিজের স্রোতকে উন্মুক্ত করতে হ’লে ঝাপিয়ে পড়তে হবে কাজের । মধ্যে । শুধু কথায় মত প্রকাশ করা নয়, জীবনের কাজের মধ্য দিয়ে নিজের জীবনের স্রোতকে দিতে হবে উদাম করে', উন্মুক্ত করে । রাখা ঢাকার কারবারে, পাটোয়ারী বুদ্ধিতে, লাভালাভের বিবেচনায় এ কাজ সম্পন্ন হবার উপায় নেই, এ তার অস্তরের বেদনা, অস্তরের তাড়না । এক নিমেষেই সে যেন আজ তার গুপ্ত রহস্য অনুভব করতে পারল যে তার অন্তরের শিল্পী যে মূর্ত্তি তার অস্তরের মধ্যে গড়ে তুলেছিলেন আজ তিনি দাবী করছেন যে সে মূর্ত্তি যত অসম্পূর্ণ, যত অসমাপ্ত হোক না কেন, তাকে আজ বের করে আনতে হবে বাইরের বাজারে যাচাই করতে। তার মনে হ’ল তার শক্তি কত ক্ষীণ, তার ক্ষীণ কণ্ঠে সে যে সাড়া দেবে তা শুনবে কে ? আবার S >