পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬২ অধ্যাপক সে ভাবলে—কিন্তু কে আসবে না আসবে, কে শুনবে না শুনবে, এ ত বাইরের প্রয়োজন, সে যে একলাই চলতে চায় তার চলার তাগিদে । আবার মনে হ’ল—আচ্ছা, কানাইবাবু কি করে আত্মপ্রকাশ করেন ? তিনি কি করে নিজের স্রোত জগতের স্রোতের মধ্যে মিশিয়ে দেবার চেষ্টা করছেন ? বারবার মনে হ’তে লাগল—যদি কানাইবাবুর খোজ নিয়ে তার সঙ্গে কথাটা একবার ঝালাই করে নেওয়া যায় । হয় ত রঞ্জনের কাছে চেষ্টা করলে তার ঠিকানাটা পাওয়া যায়, তাকে হয় ত একটা চিঠিও লেখা যায় । তিনি যে রকম সহৃদয় ব্যক্তি তাতে হয় ত অনুরোধ করলে তিনি আসতেও পারেন । কিন্তু এ কথাটা মনে হ’তেই কেমন একটা লজ্জায় তার কর্ণমূল লাল হয়ে উঠল । এ রকম লজ্জা স্বজাতার পক্ষে একেবারে অনভ্যস্ত, কোনদিন কোন ব্যাপারে এ রকম, একটা লজ্জা সে অনুভব করে নি। আজ তাই এর তাৎপর্য্য সে বুঝতে পারল না । কিন্তু সঙ্কোচের বাধা এমনই প্রবল হয়ে রুখে দাড়াল হৃদয়ের সামনে যে এ কাজটা করা হয়ে উঠল একেবারে দুঃসাধ্য । এমনি করে হৃদয়ের দ্বন্দ্বে কাটতে লাল তার দিন অসহ তীব্র যন্ত্রণায় । এর পরে কিছুদিন কেটে গেছে । হঠাৎ একদিন মঞ্জরা গিয়ে উপস্থিত হ’ল স্বকুমারের বাসায়। মঞ্জর জিজ্ঞাসা করলে স্বকুমারকে —“আর যে একবারও ওদিকে যাওয়া হয় না ?” RFNIH Itā—“All-India Chess Competition-a corol দিয়েছি । এ পর্য্যন্ত ৩৬টা খেলা খেলেছি । এইবার উঠেছি প্রায় 2nd roundএ, তাই একেবারেই সময় পাই না । তা আপনার সঙ্গে •ত এর মধ্যে ৩।৪ বার দেখা হয়েছে ৷’’ "মুমার সঙ্গে দেখা হয়েছে ত আমি যেচে এসেছি বলে’ । আপনার বান্ধবীটির খোজ ত একেবারেই নেন না ।”