পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯvყ8 অধ্যাপক মুকুমার বিস্মিত হয়ে বল্লে—“বলেন কি ? কিসের জন্য ক্ষেপিয়ে তুলেছে ?” মঞ্জরী বল্লে—“কিসের জন্য আর ক্ষেপাবে ? যার জন্য দেশের লোক আজ ক্ষেপে’ উঠেছে । সে নেমেছে পলিটিক্সে । কিন্তু তার ক্ষেপাবার মধ্যে একটু নূতনত্ব আছে । সে বলছে—ইংরেজরা আমাদের দেশে এসে তাদের কলুষিত আদর্শে আমাদের জীবনের স্রোত, জীবনের প্রবাহ দিয়েছে পঙ্কিল করে’, কলুষিত করে, বিষাক্ত করে’ । সে বলছে—মেয়ের যেমন একদিকে অবলা, তেমনি অপরদিকে তারা বলের জননী । যেমন নিশ্চল হয়ে থেকেও চুম্বক লোহাকে আকৃষ্ট করে, উদ্দীপিত করে লোহার বেগশক্তি, তেমনি শক্তিরূপিণী স্ত্রীজাতি উদ্বুদ্ধ করতে পারে পুরুষের শক্তিকে । পুরুষের শক্তি হয়ে এসেছে এ দেশে জড়, অলস, বিলাসপ্রিয় । আজ নারী ও পুরুষ একত্র হয়ে করতে হবে বীর্য্যের সাধন, প্রকাশ করতে হবে আপনাদের ব্যক্তিত্ব, অক্ষুন্ন রাখতে হবে আমাদের চিরন্তন আদর্শ। এই বিদেশীয়েরা যে এসে আমাদের কোটি কোটি নরনারীকে তাদের নিজেদের ভোগের, বিলাসের, শক্তির উপকরণরূপে ব্যবহার করবে এ কখনই হতে পারে না। সমস্ত ইংরেজ জাতির, সমস্ত ইউরোপীয়দের একচ্ছত্র রাজত্ববাদের বিরুদ্ধে করতে হবে আমাদের বিদ্রোহ ঘোষণা । সনাতন হিন্দুবংশে আমাদের জন্ম, সনাতন বীরদের রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে আমাদের ধমনীতে। আজ জীবনমরণের সংগ্রাম উপস্থিত হয়েছে। এই জীবনমরণের সংগ্রামে আমাদের মঙ্গলের কাজ আমরা নিজের নিম্পন্ন করব । মুষ্টিমেয় ইংরেজের দাসত্বে আমাদের জীবন আমরা কিছুতেই কলঙ্কিত হতে দেব না । সে কি অগ্নিময়ী বক্তৃতা, অগ্নিময়ী ভাষা। আরও বিপদের কথা এই যে মেয়ের দল ক্ষেপে উঠে হলঘরে