পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ›ግ > যার যথার্থ কর্তা হচ্ছে আমাদের অন্তঃপ্রকৃতি । বেশ একটি ঠাণ্ডা মেয়ের মত সুথে ও স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন কাটিয়ে দেব এটা আমার প্রকৃতি নয়, আমার প্রকৃতি চায় নিজেকে প্রকাশ করতে । এতদিন সেই প্রকাশে পাচ্ছিলুম বাধা, পথ পাচ্ছিল না আমার মন কোনও দিকে ছুটে যেতে । বাধাধরা পড়াশুনার পালা এল শেষ হয়ে, অনুভব করলুম, আমি একজন মানুষ । তুমি ত জান, জীবনের একটা ধর্ম্ম হচ্ছে irritation, জীবন চায় বহিঃপ্রকৃতির সঙ্গে দ্বন্দ্ব করে তার , আপন পথ কেটে নিতে। তাই, লোকে দুর্গম পাহাড়-পর্ব্বত কেটে পাতে সেখানে রেলের রাস্তা। এতটুকু ঝরণার স্রোতে পাথরের মুড়ি ভেঙে ভেঙে প্রবলবেগে নেমে আসে পর্ব্বতের সামুদেশে, ছুটে চলে সে তার অজ্ঞাত যাত্রাপথে । আমার চিত্তও ছুটেছিল তেমনি একটা যাত্রাপথের খোজে, তাই সে বেরিখে পড়েছে এই অজানা পথে । ফেরবার উপদেশ দিলে ফল হবে না, তবে সফল করতে পার তুমি আমার যাত্রা, ভবিষ্যৎপথের বার্ত্তা দিতে পার নির্দেশ করে ।” সুকুমার আবার প্রশ্ন করলে—“তুমি তোমার আত্মাকে চাও প্রকাশ করতে, তার জন্য দশজনকে নিজের সঙ্গে জড়াও কেন ? দশজনকে জডাতে গেলেই বাধে ফ্যাসাদ । একটা নরুণ দিয়েও লোকে নিজেকে খুন করতে পারে, কিন্তু আরেকজনকে খুন করতে গেলে লাগে অস্ত্রশস্ত্র, কলকৌশল । স্বজাত আবার বল্লে—“কিছু মনে কর’ না, কিন্তু তোমার উপমাট এখানে থাট্টল না। আমার আত্মা ত শুধু আমার মধ্যে নেই, সে যে জড়িয়ে রয়েছে দশের সঙ্গে দশের মধ্যে ছাড়া সে আপনাকে প্রকাশ করবে কি করে’ ?”