পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

為brミ অধ্যাপক স্বজাত বল্লে—“তা ঠিক । এই রকম কাজে নামবার দু’চারদিন পূর্ব্ব পর্য্যন্ত আমি নিজেই জানতুম না আমি কি ভাবে নাম্ব।” কিন্তু সুকুমার আবার বল্লে—“তবে আত্মপ্রকাশ হ’তে পারে আত্মপ্রতারণা ৷” “হ’তে পারে, কিন্তু হযেছেই যে, এ কথা বলা চলে না। কবি লেখেন র্তার কাব্য, অস্ফুট হয়ে থাকে তার বেদনার তীব্র অনুভব, র্তার ভাবের স্পন্দন তার ধ্যানলোকের নিম্পন্দতায় । হঠাৎ সেই নিম্পন্দত স্রোতের ধারে বেরিয়ে আসে তার কবিতারূপে, ভাষায় ছন্দে রসে মূর্ত্তিমতী হয়ে, যেমন বেরিয়ে আসে অসংখ্য চিত্রলেখায় ভূবনের সৌন্দর্য্য নৈশ শূন্যতার মধ্য থেকে । হঠাৎ বেরিয়ে এসেছে বলে তা প্রকাশ নয়, সত্য নয়, এ কথা বলা চলে না । আরও একটা কথা এই যে যা বেরিয়ে এল তা সত্য কি মিথ্যা তা তার আকস্মিকতা দ্বারা প্রমাণিত হয় না, প্রমাণিত হয় তার আপন প্রভাবের দ্বারা । নৈশলোক থেকে অকস্মাৎ বেরিযে এসেছে বলে’ ভূবনের সৌন্দর্য্য মিথ্যা নয়, যেমন মিথ্যা নয় হঠাৎ বঁধভাঙা জলপ্লাবন । তার প্রমাণ তার প্রত্যক্ষ ফলে, সৌন্দর্য্যের প্রাতাক্ষিক শবিতৃপ্তিতে এবং প্লাবনের অজস্র ক্ষয়-ক্ষতিতে । তেমনি আজ যা বেরিয়ে এসেছে আমার অন্তর থেকে, তার সত্যতা আমি অনুভব করছি আমার সমস্ত প্রাণ দিয়ে । আকস্মিক বলে’ ত তাকে মিথ্যা মনে হচ্ছে না, মনে ত কোনও অনুশোচনা আসছে না। তবে কেমন করে বলব এটা আত্মপ্রতারণা ?” সুকুমার আবার বল্লে—“তুমি কিছু মনে কর’ না, কিন্তু হয় ত এমন হতে পারে যে এই হঠাৎ-পাওয়া নেতৃত্বের লোভ, প্রশংসা বা বাহবা পাওয়ার আগ্রহ তোমার দৃষ্টিকে করেছে আচ্ছন্ন। হয় ত পরে তুমি