পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক brసి স্বার্থের বাইরে রাষ্ট্র যেখানে তার একটা নূতন স্বার্থ রাখবার জন্ত ব্রতী হয় সে রাষ্ট্র হয় আত্মঘাতী । ব্যক্তিসাধারণের বৃত্তিনিচয়ের পরস্পর সামঞ্জস্য পরিস্ফূর্ত্তি করাই রাষ্ট্রের প্রধান কর্ত্তব্য । যেখানে কতিপর ব্যক্তি রাষ্ট্রের শক্তিকে দখল করে সেই শক্তি দ্বারা কোনও কল্পিত উদ্দেশ্য অনুসারে বা কোনও শ্রেণীবিশেষের উপকারের জন্য বা কোনও ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর বলাভিমান বা ধনাভিমান স্থাপনের জন্য প্রয়োগ করে সেই শক্তি সকলকে নিয়ন্ত্রিত করতে তখন সেই রাষ্ট্র বিচ্যুত, হয় তার আপন আদর্শ থেকে । তখন প্রজাবর্গের হয় এটা কর্ত্তব্য যে তারা সংশোধন করবে সেই রাষ্ট্রকে । তখন দ্বন্দ্ব ঘটে রাষ্ট্রে ও প্রজাতে। তাতে দুঃখ অনেক । তার পীড়া আনে প্রভূততম যন্ত্রণ, কিন্তু তার উদেশ্ব মহৎ । সে উদ্দেশ্য হচ্ছে স্বাস্থ্যে ফিরে যাওয়া । দেহের মধ্যে যখন ঢোকে জীবাণু, অসংখ্যেয় বংশবিস্তারে যখন তারা হয়ে ওঠে প্রবল, তখন তা নষ্ট করে ফেলতে চায় জীবনের আত্মবিশ্বাসকে, তাই জীবনের সঙ্গে ঘটে তার দ্বন্দ্ব । সেই দ্বন্দ্বে দেহের ঘটে নানা যন্ত্রণ, উৎপন্ন হয় তীব্র জর । এটা হচ্ছে জীবনের প্রতিক্রিয়া স্বাস্থ্যে ফিরে যাবার জন্য । যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে ছাড়া স্বাস্থ্যে ফিরে যাবার আর কোনও উপায় নেই, তাই অপরিহার্য্য বলে এই দুঃখ আমাদের প্রতিনিয়ত ভোগ করতে হয় । এইরকম দ্বন্দ্বই ওঠে আমাদের চিত্তের মধ্যে যখন প্রবৃত্তির অমঙ্গল তাড়নার হাত থেকে মুক্তি পেয়ে আমরা ফিরে যেতে চাই প্রবৃত্তির একটি মঙ্গলময় আত্মবিকাশের মধ্যে | তখন চিত্তের মধ্যে চলে প্রবল সংগ্রাম, অনেক অনুতাপ, অনেক অনুশোচনা, অনেক স্থলনপতনের মধ্য দিয়ে আমরা : ফিরে যেতে পারি চিত্তের স্বাস্থ্যের মধ্যে ।” - . এই সময় প্রভা এসে প্রবেশ করল ঘরের মধ্যে ! সুজাতা প্রভাকে