পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক > ఫి:ు কল্যাণীয়েযু। মেহের রঞ্জন ! নানা জায়গায় ঘুরছি, নানা হাঙ্গামায় আছি। ইতিমধ্যে কাগজে পড়লুম সুজাতা দেবীর কথা । সেদিন চায়ের টেবিলে বসে যে-সমস্ত আলোচনা হয়েছিল তা যে এমন মূর্ত্ত হয়ে এত অল্পকালের মধ্যে র্তার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পাবে তা আমি ভাবতে পারি নি। আমাদের জীবন ভেসে যায় জলরেখার মত, তার মধ্যে অজস্র ঝরে যায় হৃদয়েব বীজ । সেগুলির কোনটি কথন গিয়ে কোন হৃদয়ে স্যামলশোভন রূপে আত্মপ্রকাশ করে তা আমরা কিছুতেই অনুমান করতে পারি না । র্তার সাহস ও তেজস্বিতায় আমি মুগ্ধ হয়েছি । কোনও সময় তার সঙ্গে দেখা হ’লে আমার সশ্রদ্ধ নমস্কার তাকে জানাবে । ইতি— তোমাদের কানাই-দণ । রঞ্জন ত চিঠিটা পেয়ে অবধি লাফাচ্ছে ” চিঠিটা শুনতে শুনতে সুকুমারের মুখ ক্রমশঃ কঠিন হয়ে আসছিল। সে এক নিমেষে বুঝতে পারল কার প্রভাবে স্বজাতার হৃদয়ের মধ্যে আজ এই তীব্র আলোড়ন উপস্থিত হয়েছে । সুজাতা হয়ে পড়েছে তখন একান্ত অন্যমন । চারিদিকে যে কেউ আছে মুহূর্তের জন্য সে তা সম্পূর্ণ বিশ্বত হয়ে গিয়েছিল । সুকুমার জিজ্ঞাসা করলে—“কানাইবাবুটি কে ?” স্বজাত কলের পুতুলের মত জবাব দিলে—“সে তুমি চিনবে না।”