পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ఫిలి স্বায়সঙ্গত কারণ আছে তা তারা জানে না । যেমন ঠাকুর ঘরে প্রণাম করতে হয় তেমনি সাহেব ও পুলিশ দেখলে প্রণাম করতে হয়। ব্রাহ্মণের চেয়েও বড় নমস্ত সাহেব । দেবতা-ব্রাহ্মণকে অপমান করলে তার ফলের জন্য পরকাল পর্য্যস্ত অপেক্ষা করতে হয়, কিন্তু সাহেব পুলিশকে অপমান করলে তার ফল পাওয়া যায় সদ্য সদ্য লাথি, ওঁতে, কীলচড়ে । সেইজন্য এই সমস্ত নিরীহ প্রজাবৰ্গ, যত কঠোরই হোক না কেন যে কোনও নিয়ম, কোনও শাসন, বিনাবাক্যে তা পালন করে’ যায় । সরকারের কোনও শাসন-প্রণালী ব্যর্থ করবে এ রকম কল্পনা তাদের মনে স্থান পায না । সমাজের ভয়, পুরোহিতের ভয় ও দারোগপুলিশের ভয়, এই ত্রিবিধ ভয়ের ত্রিবিধ দুঃখ অনুধাবন করে কোনও বিধিনিষেধই তাবা লঙ্ঘন কবতে চায় না । শিক্ষিত অৰ্দ্ধশিক্ষিত র্যারা অফিসে আদালতে কাজ করেন, তারা বাড়ীতে বসে খবরের কাগজ পড়বার সময় অনেক গরম গরম মত প্রকাশ করে থাকেন । কিন্তু চাকরীই তাদের একমাত্র পস্থা । নান্যঃ পন্থা বিদ্যতে অয়নায়— তাদের চলবার আর দ্বিতীয় কোনও পথ নেই। কোনও রকমে ইংরেজ গভর্ণমেণ্ট বিপন্ন হ’লে তাদের অনেকেই খুসী। সরকার বিপন্ন হ’লে র্তারাও যে আপন্ন হবেন এ কথাটা তারা তলিয়ে দেখেন না । কিন্তু মত প্রকাশের সময় যতই তাদের সহৃদয়ত থাকৃ, তারা মনে মনে নিশ্চিত জানেন যে অসহযোগ অর্থ অনাহারযোগ । কাজেই তারা কেউ বা ধুতি পরে’, কেউ বা চাপকান এটে, কেউ বা পূরাদস্তুর সাহেবী চালে নিয়ত আদালতে যাতায়াত করেন এবং সকাল বেলা চায়ের পেয়ালার সঙ্গে সঙ্গে ‘আনন্দবাজার’ ‘অমৃতবাজারের উষ্ণ, কবোষ্ণ ও অত্যুষ্ণ মত পরিপাক করে থাকেন । যারা ব্যবসায়ী আছেন তারা এ সব দিকে বড় একটা ঘেঁসেন না, কারণ এ সব দিকে \డి