পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক సె(! আসতেও দেরী হয় না । প্রকৃতি এদের শাস্তশিষ্ট, চেহারা নাদুসমুছস অথবা অনাহারে ক্ষীণপাণ্ডুর । স্বভাবতঃ মোলায়েম, মৃদু, কিন্তু ক্ষেপে উঠলে যে কোনও রকম প্রলাপ বকতে বা মত্তোন্মত্তের মত কাজ করতে এদের বিন্দুমাত্র দ্বিধা হয় না। তাই আমাদের দেশের নেতৃবৃন্দ এদের নিয়ে ব্যবহাব করেন তাদের শোভাযাত্রার আসর সরগরম করবার জন্য, কর্তৃপক্ষকে বোঝাবার জন্য যে কি রকম একটা mass movement afgg ggggg i gg' REI FREIỆ inert mass · এবং বেগ দিলে inertiaর ধর্ম্মে প্রতিহত হওয়ার পূর্ব পর্য্যন্ত সবেগে ছুটতে থাকে। প্রায়ই দেখা যায় যে কোনও ছুটির দু’একমাস পূর্ব্বে যখন কোন ও অসহযোগ নীতি প্রচার করা যায় তা যেমন চালু হয় এমন অন্য সময়ে নয় । এদের মধ্যে যাবা মোড়লজাতীয় তারা জানে যে কিছুদিন হৈ চৈ করে’ কলেজে না গেলেই কর্তৃপক্ষ দেবে কলেজ বন্ধ করে’, দু’মাসের জায়গায় পাবে চারমাসের ছুটি অথবা পরীক্ষাটা যাবে পেছিয়ে । মনের চাহিদার সঙ্গে বাইরের তাগিদের একটু মিল ঘটলে উপস্থিত হয় মণিকাঞ্চনযোগ । রাজনৈতিক বুদ্ধিসম্পন্নদের সাহায্যে এরা গড়ে তুলেছে একটা সর্ব্বকলেজীয় গোষ্ঠী বা Federation । রাজনৈতিকের রাখেন সেই Federation-এর মোড়লবর্গকে হাতে এবং তাদেব মধ্য দিয়ে অনায়াসে বাধিয়ে দেন অগ্নিকাণ্ড কলেজে কলেজে । খবরের কাগজওয়ালারা আপন পণ্যবিক্রয়ের স্বার্থে এই ছাত্র-বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনও কথা বলতে সাহস করে না, রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে কার্য্য, অকার্য্য, কুকার্য্য, অপকার্য্য যা তারা করে তারই অতি ভূয়সী প্রশংসা তারা কাগজে কাগজে প্রকাশ করে । বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের মনোভাবের বিরুদ্ধে কাগজে বেরোয় প্রতিবাদ, ছাত্রেরা সভা করে করে তার সমর্থন । ফলে বাধে ছাত্রে অধ্যাপকে দ্বন্দ্ব, ধ্বংস হয়