পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ఫి 6 లి কানাইয়ের মনে বিশ্বাস ছিল যে বিদেশীয় রাজার নিকট নিরস্তর আবেদন নিবেদন ও নিষ্ফল রোষপ্রকাশ একান্তই অর্থহীন । আমাদের নিজেদের কাজ আমরা নিজেরা না করতে চেষ্টা করে” কেবল দেব রাজার দোহাই, এতে কখনই আমাদের আত্মশক্তির বোধ জাগে না । এইভাবে কাজ করতে গিয়ে কানাই কিছু কিছু সাফল্যও লাভ করেছিল । দেশের তরুণদের উপর তার বেশ একটু প্রভাব জমে উঠেছিল এবং খবরের কাগজের মারফত তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল দেশময় | কলকাতায় ছাত্রদলের যে হাঙ্গামা উপস্থিত হ’ল তার ফলে - কোতোয়ালের অত্যাচার উঠল বেড়ে । দলে দলে ছেলেদের ধরে’ নিয়ে যেতে লাগল জেলে । পুলিশের বিরুদ্ধে লোকের যত অসন্তোষ ও অভিযোগ তার কিছু কিছু এসে পড়ল দেশের নেতাদের উপর । র্তারা ভাবতে লাগলেন—এ যৌবনজল-জোয়ার রুধিবে কে ? আন্দোলন র্তার বন্ধ করতে পারেন না, কারণ ক্ষোভিত ছাত্রদল তাদের শাসন না মেনে নিজেরাই যদি কোনও দিকে নিজেদের গতি স্থির করে নেয় তবে তারা হয়ে পড়বেন একান্ত নিরুপায় । তা হ’লে এই শক্তিকে তার ব্যবহার করতে পারবেন না, বরং এই শক্তি কোনও কারণে হয় ত তাদের বিরুদ্ধে ও দাড়াতে পারে । যজ্ঞের অপরাধে বধ্য যে ঘাতক হয়ে দাড়ায় পুরাণে এর দৃষ্টাস্তের অভাব নেই । কলকাতার নেতাদের দৃষ্টি পড়ল কানাইয়ের উপর । তারা দেখলেন যে কানাই বাইরের লোক, তার হিতাহিতে র্তাদের বড় কিছু আসে যায় না, অথচ ছাত্রসমাজে কানাইয়ের প্রচুর প্রভাব রয়েছে। কানাইকে যন্ত্র করে হয় ত এই ছাত্রবাহিনীকে হাতে রাখা যায়। কানাইকে যন্ত্র করা এমন কিছু কঠিন হবে না । সে বাইরের লোক, একটু পিঠ চাপড়ে দিলেই সে এসে তাদের বহুত স্বীকার করবে, কথা অনুসারে