অধ্যাপক را به جا নায়ক মহাশয় এরূপ প্রশ্নের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না । এরূপ প্রশ্ন কখনও কেউ করে নি এবং তার মাথায়ও কখনও আসে নি। তিনি একটু চিন্তা করে’ বল্পেন—“ইংরেজ তা হ’তে দেবে কেন ?” কানাই বল্লে—“তবে আপনারা জানেন যে এ যুদ্ধে আপনাদের বিজয় নেই ? এটা কেবলমাত্র যুদ্ধের ভাণ ?” নায়কমহাশয় বল্পেন—“কিন্তু বেটার। জব্দ ত হবে, নাকানি-চোবানি ত থাবে !” “কিন্তু তারা যত জব্দ হবে তার চাইতে বেশী জবা হব ত অপমর ” “এ-সব politicsএর চাল আপনারা সহজে বুঝবেন না।” “সহজে ত বুঝবই না, অত্যন্ত কষ্ট করে’ও ত বুঝতে পারছি না, সেইজন্যই ত আপনাকে জিজ্ঞাসা করছি।” নায়ক মহাশয় আবার বল্লেন—“আমাদের শক্তির পরিচয় পেলে ব্যাটার ভয় পেয়ে যাবে এবং ভয় পেয়ে হয় ত আমাদের দু একটা নূতন অধিকার দিয়ে দিতে পারে। ভাবতে পারে যে স্বস্তিতে থাকতে হ’লে আমাদের কিছু অধিকাব দিয়ে দেওয়াই তাদের পক্ষে উচিত হবে ।” - কানাই আবার বল্লে—“তা হলে, এটা বলুন চোখ রাঙিয়ে ভিক্ষে করা । তবে যে আপনার বলেন নিজের বলে আদায় করে নেব ?” “দেখুন, politicsএ বলা ও করার মধ্যে অনেক তফাৎ । যা বলি তা আমরা করি না, যা করি তা আমরা বলি না । এই ত politics & game " - কানাই বল্লে—“তা হলে ত এটা অসত্যেরই প্রশ্রয় দেওয়া । অথচ প্রধান অধিনায়ক বলেন যে সত্যা গ্রহের পথই দেশহিতৈষণার পথ ।”
