পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ఫిలి নিজের স্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থকে শ্রেষ্ঠ মনে করেন এমন লোক ক’জন আছেন ? মানুষের চিত্তের মধ্যেও এমন কোনও mark দেওয়া নেই যে তার একটি কোঠায় চলবে মিথ্যার তাণ্ডব নৃত্য আর আর একটি কোঠায় থাকবে ন্যায়, ধর্ম্ম ও সত্যের শাস্ত রূপ ।” নায়ক মহাশয় একটু বিত্রত হয়ে আবার বল্পেন—“দেখুন, এ সব ফ্যাসাদে তর্কের আর শেষ নেই, কিন্তু সত্য সত্যই আপনি কি এ কথা মনে করেন না যে এ ব্যাটারা আমাদের উপর যে রকম অত্যাচার আরম্ভ করেছে তাতে ন্যায়ধর্ম্ম কিছুমাত্র না মেনে আমাদের প্রধান কাজই হওয়া উচিত যাতে আমরা সকলে একত্র হয়ে যেন তেন প্রকারেণ এদের উৎপাটিত করি ?” কানাই বল্লে—“তর্কের খাতিবে না হয় আপনার কথাটা মেনেই নিলাম, কিন্তু ন্যায়ধর্ম্ম যদি আমরা পরিত্যাগ করি তবে আমাদের নিজেদের মধ্যেই এমন দুর্ব্বলতা, এমন শিথিলতা, এমন একযোগিতার অভাব আসবে যে সেই জন্যই একত্রিত হয়ে এদের উৎপাটিত করা হবে অসম্ভব । ন্যায়ধর্ম্ম শুধু কথার কথা নয়, সেটা হচ্ছে চরিত্রের বল । দুর্ব্বল যারা, নিরস্ত্র যারা, তাদের পক্ষে কোন বলই তেমন বল নয় যেমন চরিত্রবল। চরিত্রবল এবং আদর্শের প্রতি নিষ্ঠাই হচ্ছে যথার্থভাবে দুর্ব্বলের বল । আমাদের পুরাণে যে সমস্ত কাহিনী আছে ঘটনা হিসাবে তারা অশ্রদ্ধেয় হ’তে পারে, কিন্তু তাদের তাৎপর্য্য এই যে তপস্তার বলের দ্বারা দুঃসাধ্য সাধন করা যায়, ইন্দ্রের সিংহাসন কম্পিত করা যায় । যেমন থাকা প্রয়োজন আমাদের চরিত্রবল । তেমনই থাকা উচিত চরিত্রবলে বিশ্বাস । যে অস্ত্র নিয়ে আপনি শত্রুর সম্মুখীন হবেন সে অস্ত্রে যদি আপনার বিশ্বাস না থাকে, সে অস্ত্র আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না । আপনার হাতে আছে