পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૨ જ অধ্যাপক জানত যে কানাইকে কলিকাতায় ডাকা হয়েছে ছাত্রবাহিনীর ভার দেওয়ার জন্য কানাইকে তারা মহা আদর আপ্যায়ন করে ঘিরে ধরল। কানাই বল্লে—“ব্যাপার কি ? তোমরা কি সব বাধিয়েছ ?” তারা বল্লে—“ভারি মজার ব্যাপার । অনেকগুলো বোকা ছেলে কলেজের গেটের সামনে চিৎপাত হয়ে পড়ে অহিংস অসহযোগের চেষ্টা করছিল, পুলিশ তাদের রুলের গুতো দিয়ে prison wan-এ নিয়ে গিয়েছিল, দু’ তিন দিন হাজতে রেখে ছেড়ে দিয়েছে ।” কানাই বল্লে—“কেন ?" তারা বল্লে—“নয় ত কি ? হাজতে আর জায়গা কত ? কত লোককে ধরে’ রাখতে পারে ? হাজতে একদল নিচ্ছে, আর একদল বের করে দিচ্ছে ।” কানাই আবার বল্লে—“আচ্ছা, এই অহিংস অসহযোগটা তোমরা কি রকম করে’ পালন করছ শুনি ।” তার বল্লে—“দেখুন দেখি মশাই, বুড়োর হযেছে ভীমরতি, নইলে কথনও এমন হুকুম করে—দাড়িয়ে দাড়িয়ে মায় থাও ? এ কি রসগোল্লা সন্দেশ ? আমরা অবশ্য মার থাই নি, তার খাবও না । আমরা সব এমন কায়দাসে চলি যে ধরবে কি, পুলিশ আমাদের দেখতেই পায় না । তারপরে বেটাদের বেকায়দায় কোনও গলির মধ্যে পেলে পেছন থেকে দুই এক ঘা মেরে দিই চম্পট । শুধু তাই নয়, কত বড় একটা প্রফেসারকে সুবিধামত জায়গায় পেয়ে ঘা কতক বেশ কধিয়ে দেওয়া গেছে ।” কানাই বল্লে—“তোমরা কি প্রফেসার দেখলেই মার, না বেছে টেছে মার ?” * “ন, না, সবাইকে মারব কেন বলুন ? দু এক বেটা আছে