পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS ミ অধ্যাপক অনেক জমা হয়েছিল । শুনেছি তিনি মেয়েদের নিয়ে রাস্তায় একটা শোভাযাত্রা বের করবেন ।” কানাই একটু উদ্বিগ্নভাবে বল্লে—“তাই নাকি ?” তারা বল্লে—“হঁ্যা, আমরা ত সেই দিকেই যাচ্ছিলুম। আপনি যাবেন আমাদের সঙ্গে ?” কানাই বল্লে—“আচ্ছ। চল, দেখা যাক্ ব্যাপারটা কি রকম হয় ।” স্বজাত কয়েকদিন প্রায় ঘরের মধ্যেই বন্ধ হয়ে ছিল । চারিদিক থেকে প্রতিদিন নানা উত্তেজক খবর আসছে । ছেলেদের কলেজগুলোতে জোর strike সুরু হয়ে গেছে । কলেজে কলেজে মেয়েরা পিকেটিং করে বেড়াচ্ছে । তাদের রুক্ষ কেশ, রুক্ষ বেশ, বিবর্ণ মুখ, পাংশুতে পূর্ণ সমস্ত দেহ । অথচ চোখ দেখলে মনে হয় প্রত্যেকেই এক একজন রণচণ্ডিকা ৷ ইতিমধ্যে একটা বড় কলেজে দুর্দ্দান্তরকম ব্যাপার হয়ে গেছে । কোন কোন অধ্যাপক হয়েছেন প্রহৃত এবং কোন ছাত্রের কাছে নাকে খত দিয়ে কোন রকমে অব্যাহতি পেয়েছেন স্বয়ং ইংরেজ অধ্যক্ষ মহাশয় । সেই কলেজটা করে দিয়েছে বন্ধ, কতদিনের জন্য ঠিকানা নেই । যে মেয়েকলেজটিতে সুজাতা থাকত সে কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন একজন ইংরেজ মহিলা । তিনি হুকুম দিলেন তার কলেজের মেয়ের পুরুষকলেজের ছাত্রদের সঙ্গে যোগ দিয়ে হরতাল করতে পারবে না। এই হুকুমে পূর্ব্বে যা ছিল ধূমায়িত, তা হয়ে উঠ ল প্রজ্জ্বলিত । মেয়ের বল্লে—“যখন হরতাল করতে বারণ করেছে তখন হরতাল করবই।” সুজাতা এখন আশ্রয় নিয়েছে কলেজের বাইরে । দলে দলে মেয়েরা তার কাছে আসতে লাগল এই হরতালের ব্যাপারে নেতৃত্বের অনুরোধ জানাতে । প্রথম দিনের ব্যাপারের পরই স্বজাত পড়েছিল ক্লান্ত হয়ে ।