পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ૨૨ (t তুলতে, তখন স্বজাত প্রথমটা রইল নিশ্চেষ্ট হয়ে । সে নিজের কর্তব্য ঠিক করতে পারলে না, ভাৰলে—আমার যা বলবার তা ত আমি বলেছি। এখন এই মেয়েদের কলেজ বন্ধ করে তাদের আমি কি করি ? কি কাজে তাদের আমি লাগাব ? যে অবসর পূর্ণ হ’ত বিদ্যাগ্রহণের আনন্দে তাকে রিক্ত করে তুলৰ আলস্ত ও উত্তেজনার দৈন্তে ? এ প্রস্তাব তার একটুও ভাল লাগছিল না । তার বার বার মনে হচ্ছিল সমস্ত ব্যাপারটার নিঃসারতা । অধ্যক্ষের সঙ্গে প্রতিবাদ করে’ জোর করে তার সঙ্গে বিদ্রোহ ঘটানোতে কোনই মঙ্গল নেই, সেটা আত্মপ্রকাশের কোন মঙ্গল রূপ নয়। যতক্ষণ সে যুক্তির বল পাচ্ছিল ততক্ষণ অফুরন্ত ছিল তার উৎসাহ, কিন্তু যুক্তির বল যেই এল নেমে, জমাট উৎসাহ তেমনিই যেতে লাগল কপূরের মত উবে । এদিকে ছাত্রীদের তাগিদ হয়ে ওঠে অসহ, কোন যুক্তির কথা, ধৈর্য্যের কথা তাদের কাণে অবাচ্য ও অশ্রাব্য। স্বজাতার হয়ে উঠল একট। ন যথে ন তস্থেী ভাব। ইতিমধ্যে যখন সে কাগজে পড়ল যে কানাইকে কলকাতায় আনানো হচ্ছে ছাত্রবিদ্রোহ পরিচালনা করবার জন্য, তখন তার মনে হ’ল যে নিশ্চয়ই এর মধ্যে একটা কিছু যুক্তি আছে। নিধৌক্তিক কাজে কানাইবাৰু কখনও নামতেন না, এই কথা ভেবে স্বজাত যেন অকুল সমূদ্রে পারের আলো দেখতে পেলে । সে তার মনশ্চক্ষে কল্পনা করলে যে সে তার অবলা-বাহিনী নিয়ে বিজয়কেতন উড়িয়ে অগ্রসর হবে, আর বিপরীত পথ দিয়ে সবল বাহিনী নিয়ে তার সম্মুখে এসে দাড়াবে কানাই। অবল ও সবলের মিলন হবে একটা যুদ্ধের লগ্নে । এ কথা মনে করতে রক্তে এল তার একটা উত্তেজনা । তার মাথা থেকে পা পর্য্যস্ত উঠল শিউরে এইরকম একটা ক্ষণমহোৎসবের কল্পনায় । লে 3敬