পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૨૭ অধ্যাপক রাজী হ’ল মেয়েদের প্রস্তাবে । আনন্দের কলরোল উঠল মেয়েদের মধ্যে । তার পরদিন ন’টার সময় বীরবালাবৃন্দ অবরোধ করলে মেয়ে কলেজটি । আগমনিগমের পথ বন্ধ করে হাতে হাতে শিক্লি বেঁধে চার সারি হয়ে দাড়িয়ে গেল মেয়ের । রাস্তায় ট্রামগাড়ী হ’ল অচল । কলেজের মহিলা অধ্যক্ষ টেলিফোন করলেন পুলিশকে । পুলিশের নাম শুনে মেয়ের উঠল আরও ক্ষেপে, দাতে দাত চেপে মেয়ের দাড়িয়ে গেল পুলিশের অপেক্ষায় । উত্তেজনায় তাদের মুখমণ্ডল হয়ে উঠল আরক্ত। স্বর্ষ্যের প্রখর উত্তাপ বিকীর্ণ হচ্ছিল আকাশ থেকে, পিচু ঢালা রাস্তা হয়ে উঠেছিল গরম । গরম বাতাসে চূর্ণকুন্তল এসে পড়ছিল মেয়েদের মুখের উপরে । কিন্তু তারা ধীর অকম্প হয়ে দাড়িয়ে রইল, যেন দীঘিকার কালো জলে প্রস্ফুটিত সারি সারি রক্তপদ্ম এবং তার উপরে উড্ডীন হয়ে পড়ছে বাতাসে শৈবাল গুচ্ছ । একদল সার্জেণ্ট এসে মেয়েদের বাস নিয়ে এল কলেজের গেটের সামনে, মেয়েরা দুড়দাড় করে লাফিয়ে পড়তে লাগল বাস থেকে, অবলাবাহিনী পূর্ণ হয়ে উঠতে থাকল তাদের বৈপুল্যে । ঘোড়ায়-চড়া সাজেন্ট সামনে এগিয়ে এল, বাড়িয়ে দিল ঘোড়াটা তার মুখ স্বজাতার মুখের সামনে । সুজাতা ধরলে ঘোড়াটার লাগাম, স্থির গম্ভীর কণ্ঠে বল্লে— “Well sir, you are armed and on horse-back, you can trample on our body.” Co Tsoi asāsā agafo Gi মুখ দিয়ে একটা অস্ফুট ধ্বনি করল, তারপর ঘোড়া ফিরিয়ে নিয়ে বল্লে— “We are men—We don’t fight with ladies. You may stand here till Doomsday.” এই কথা বলে সার্জেণ্ট তার পুলিশবাহিনী নিয়ে ধীর মম্বর গতিতে রওনা হল উত্তরদিকে । প্রতিরোধের উত্তেজনা ক্ষান্ত হওয়াতে