পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ૨૨છે মোড়ে এসে দাড়াল তখন যে অভাবনীয় ঘটনাট ঘটুল তার জন্য এরা মোটেই প্রস্তুত ছিল না । ইংরেজ সার্জেণ্টর যেখানে নিঃশব্দে ফিরে গেল সেখানে বাঙ্গালী পুলিশ এসে যে চাবুক চালাবে এ কথা সে কিছুতেই মনে করে উঠতে পারে নি । প্রথমটা সে সুকুমারকে দেখে একটু সাহসই পেয়েছিল । সুকুমার চলেছিল আপন কাজে । সে সুজাতার কলেজ অবরোধের সংবাদ কিছুমাত্র জানত না । সাধারণ রাজনৈতিক মতবাদের সঙ্গে স্বজাতার মতবাদের যে একটু পার্থক্য আছে তাও সে অনুভব করেছিল, কাজেই সে মনে করতে পারে নি যে সুজাতা মেয়েদের একত্র করে’ কলেজের প্রতি বিদ্রোহ দাড় করাবে। সে লক্ষ্য করেছিল যে কলেজের সঙ্গে ছাত্রীদের যে একটা সংঘর্ষ ঘটেছে সে কথা অনুভব করে সুজাতা বিপন্ন বোধ করছিল । তারপর যে আজ হঠাৎ বিপুল অবলাবাহিনীর নেত্রী হয়ে সুজাত কলেজ অবরোধ করবে বা রাস্তা দিয়ে শোভাযাত্রা বের করবে এ কথা সে কোনক্রমেই কল্পনা করতে পারে নি । এর মধ্যে সে গিয়েছিল কলেজের মেয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে আলাপ করতে, তার ইচ্ছা ছিল অধ্যক্ষের মন নরম করে যদি সে কোনক্রমে ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলতে পারে । সে পরিচয় দিলে গিয়ে স্বজাতার অভিভাবক বলে’ ৷ সসম্মানে মহিলা-অধ্যক্ষ তাকে স্বাগত সস্বৰ্দ্ধনা করলেন । সুকুমার বল্লে—“আজ দেশের চারিদিকে যে রকম বিক্ষোভ উঠেছে তাতে তার ঢেউ পরিণত-বয়স্ক ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যে উঠবে না এটা কি সম্ভব হ’তে পারে ? এরাই ত আজ বাদে কাল দেশের ভার নিজেদের কাধে নেবে। তার সূচনা ত পঠদ্দশা থেকেই আরম্ভ হবে । দেশের লোক থেকে ছাত্রছাত্রীদের ত বিচ্ছিন্ন করে রাখা যায় না। এ অবস্থায় তাদের দণ্ডিত করে’ লাভ কি ? বরং