পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক వరి সুকুমার আবার বল্লে—“কিন্তু রাষ্ট্রের স্বার্থ ও সমাজের স্বার্থ বিভিন্ন হওয়া উচিত নয় ।” অধ্যক্ষ হেসে বল্লেন—“উচিত নয় তা আমি জানি, কিন্তু এই রকম সম্বন্ধই ত এ দেশে চলেছে। কোন সরাসরিভাবে চুক্তি না থাকলেও এটা এক রকম ধরে নেওয়া যেতে পারে যে কোনও বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের একটা প্রধান কর্ত্তব্য হচ্ছে এই যে তিনি রাষ্ট্রের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রাখতে চেষ্টা করবেন ।” - মুকুমার বল্লে—“সমাজের বিরুদ্ধে যাওয়া ত রাষ্ট্রের যথার্থ স্বার্থ নয় ।” অধ্যক্ষ হেসে আবার উত্তর করলেন—“কার কোনটা স্বার্থ, কার কোনটা স্বার্থ নয়, এটা বোঝবার অধিকার ত তারই ।” মুকুমার আবার বল্লে—“কিন্তু জাতির সঙ্গে রাষ্ট্রের এই দ্বন্দ্ব রাষ্ট্রের পক্ষে ও মঙ্গলকর হতে পারে না, জাতির পক্ষেও মঙ্গলকর হতে পারে না ।” অধ্যক্ষ বল্লেন—“যখন দু’জনে পরস্পর লড়াই হয় স্বার্থ নিয়ে তখন প্রত্যেকের কর্ত্তব্য অপরকে বোঝানো তার নিজের স্বার্থ কতটুকু পরিমাণে নিয়ন্ত্রিত করতে হবে । দ্বন্দ্ব হচ্ছে এখানে জাতিতে ও রাষ্ট্রে, প্রজাতে ও শাসক-সম্প্রদায়ে । এ দ্বন্দ্বের মীমাংসা করবে তারা । আমি বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ, এ মীমাংসার মধ্যে আমার প্রবেশ করা অশোভন ও অসঙ্গত ।” স্বকুমার আবার বল্লে—“আপনি বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ । আপনার এইটিই আদর্শ হওয়া উচিত যা’তে সহজ, সরল এবং সুস্থভাবে জাতীয় রাষ্ট্রের মঙ্গলের অনুকূলে ছাত্রীদের মন গড়ে উঠতে পারে। শিক্ষকের আদশ ও কর্তব্য অতি পবিত্র । শিক্ষক কেবলমাত্র বেতনভোগী