পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| >br অধ্যাপক কথা। সে হচ্ছে সেই স্বভাবের লোক যারা অকারণে করে ফেরে লোকের গুণগান ! তার ব্যস্ত বিচরণের সঙ্গে সঙ্গে সে করে বেড়াচ্ছে ফুলের প্রোপাগাণ্ডা। ঝরণা নেমে আসছে পাহাড়ের গা বেয়ে । ছোট সে ঝরণা, একে-বেঁকে পাথরে ঠেকে চলেছে তার গতি ; উচ্ছল, চপল, লীলালাস্যময়, এদিকে ওদিকে ঘুরতে ফিরতে সে মিলিত হয় এমন আরও কত ছোট ছোট জলধারার সঙ্গে । সে তখন সাগরকে চেনে না, তার দৃষ্টি ছোট ছোট উপলখণ্ডের দিকে, কেমন করে তার চলবার পথের বাধাকে সে অতিক্রম করবে । সে মিশছে ছোট ছোট জলধারার সঙ্গে । ক্রমে ক্রমে আপনার মধ্যে আপনি সঞ্চিত হয়ে বাড়ে তার বেগ, প্রশস্ত হয় তার বক্ষ, অবশেষে দাড়ায় একদিন এসে তার প্রকাণ্ড জলরাশি নিয়ে সাগরের মোহানার কাছে । তার সে বৃহত্ত্বে সে আর কারও সঙ্গে যোগ দিতে পারে না । সে চায় তার চেয়ে বৃহত্তরকে। তথম সে তার নাম, রূপ বর্জন করে হারিয়ে ফেলে নিজেকে মহাসাগরের বক্ষে। সেই যোগ তার সহজ, সেই যোগ তার সার্থক। মানুষ তখনই মানুষের সঙ্গে যথার্থভাবে যুক্ত হতে পারে যখন দু’জনেই চলে একটা বড়র দিকে । আপন বৃহত্ত্ব লাভ করে সে চায় বৃহত্তরকে, সেটা তার আত্মার স্বাভাবিক এষণা । তেমনি যদি আমাদের মধ্যে কোন দিন ঘটে তখন হয় ত তোমার সঙ্গে আমার যোগ হবে অত্যন্ত সহজ, অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, কিন্তু তার আগে নিজেকে কোথাও হারিয়ে ফেলার কোনও মানে হয় না । তোমার স্নেহে অম্বুরাগে তুমি আমায় অবসর দাও বাড়তে, তুমিও চল তোমার অনির্দিষ্ট বৃদ্ধির দিকে। তারপর বিধাতার ইঞ্জিতে কি ঘটবে কল্পনার ছায়া দিয়ে তাকে সীমাবদ্ধ করে কোন লাভ নেই। যাক, এ বিষয়ে আলোচনা করে কোন ফল , নেই। আমার একটি সঙ্গিনী জুটেছে