পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক २8१ আর পাশ করিয়ে আনা যেতে পারে ব্যারিষ্টারিট। তা হ’লে ঘরে ত টাকা আছেই, পলিটিক্সে তাকে নামিয়ে দিয়ে অর্থ ও কলকৌশলের সাহায্যে যদি তাকে একটা রাজনৈতিক নেতা করে খাড়া করা যেতে পারে তবে সব দিক বজায় থাকে। কানাই ত একজন রাজনৈতিক কর্ম্মী মাত্র, সুকুমার হয় ত তার টাকার জোরে হতে পারবে একজন দেশের নেতা, তখন কানাইকেই করতে হবে তার অধীনে কাজ। তা হ’লে আর কানাইয়ের সামনে তার মুখ কোন দিন হেঁট হবে না । এই জন্য সে ভাবলে যে এবার দেখা হ’লে সুকুমারের কাছে আর নিজেকে হঠাৎ ছেড়ে দেওয়া চলবে না । যতদিন মঞ্জরী কলেজে সজাত প্রভৃতির সঙ্গে ছিল, সব বিষয়ে চাহত সে সবাইকে টেঙ্কা দিতে । তাই সে একজন উৎসাহী সভ্য হয়েছিল ছাত্রীসঙ্ঘের । মধ্যে মধ্যে সেও দিত গরম গরম বক্তৃতা, কিন্তু আজ যে ছাত্রীসঙ্ঘের মধ্যে একটা মহা আগ্নেয়গিরির নিৰ্ঘোষ হবে তা সে স্বপ্নেও মনে করতে পারে নি । কিন্তু পুলিশ কুচকাওয়াজ করতে লাগল ছাত্রীসঙ্ঘের প্রতি সভ্যের পিছনে পিছনে। চর লাগল প্রতি ছাত্রীর পিছনে, ফলে মঞ্জরীর পিছনেও লাগল চর। চরেরা অল্প দিনের মধ্যেই আবিষ্কার করে ফেল্পে কানাইয়ের সঙ্গে মঞ্জরীর অনেকদিনের ব্যবহার । মঞ্জরীর সমস্ত নাড়ীনক্ষত্র তারা করে ফেল্পে আবিষ্কার । এমন কি সেদিন যে তারা ইডেন গার্ডেনে একত্র হয়ে বসে ছিল সে কথাটাও তারা আবিষ্কার করে ফেল্পে। মঞ্জরীর ডাক হ’ল লর্ড সিংহ রোডে । সেখানে I. B. Departmeutএর লোকেরা জেরায় জেরায় মঞ্জরীকে একেবারে করে ফেল্ল নাকাল । যখন সে একেবারে তাদের হাতের মুঠোর মধ্যে এসে পড়েছে তখন তারা জিজ্ঞাসা করতে আরম্ভ করল স্বজাতা সম্বন্ধে । তারা সুজাতা সম্বন্ধে