পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ২৪৯ কোনও খবর জুটলে তা পুলিশকে জানাবে । পুলিশ এমনিই দিত তাকে ছেডে, কারণ তার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ ছিল না, উপরন্তু তারা পেযে গেল অনেকখানি আশার অতিরিক্ত । মঞ্জরীকে তারা দিলে রেহাই কিন্তু দৃষ্টি রাখতে ছাড়ল না তার উপর । এদিকে মহা হুলস্থল বেধে গেছে সুজাতার কলেজে । নিস্তারিণী দেবী যদিও ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষয়িত্রী তথাপি সমস্ত মেয়ের র্তাকে ভক্তি করত ৪ ভালবাসত বলে’ মেয়ে হোষ্ট্রেলেও ছিল তার প্রধান কর্তৃত্ব । তা ছাড়া সকল মেয়েদেরই তিনি ছিলেন অভিভাবিকাস্বরূপ। কোথায় কোন মেয়ের অসুখ করেছে, তার শয্যার পার্শ্বে নিস্তারিণী দেবী, কোথায় কে বেতন দিতে পারছে না, নিস্তারিণী দেবীর ব্যাগ থেকে বেরুল টাকা । কোথায কোন মেয়ের মা মারা গিয়েছে বা অন্য কোন নিকট আত্মীয় মারা গিয়েছে, নিস্তারিণী দেবী দখল করে বসলেন তার মায়ের স্থান । আচারে তিনি ছিলেন হিন্দু, বিশ্বাস ছিল তার সর্বজনীন । শরতের শেফালির মত পবিত্র একটি হাসি থাকত মুখখানিকে র্তার আলো করে’ । বিদ্যার ছিল না তার কোন প্রগাঢ়ত কিন্তু তার বোধ ছিল অসাধারণ । সে বোধের প্রধান প্রেরণা ছিল প্রেম ও সহানুভূতি । ইন্দ্রিয় দিয়ে আমরা যে জ্ঞান আহরণ করি বহির্জগৎ সম্বন্ধে, সংস্কারের দ্বারা সেগুলি জমা হ’তে থাকে আমাদের চিত্তভূমির নানা স্তরের মধ্যে ! স্মৃতি ও কল্পনার দ্বারা আমরা সেগুলি আনি মনের সামনে, তাদের পরস্পরকে গ্রথিত করি নানা সম্বন্ধজালের মধ্যে এবং সেই সমস্ত সম্বন্ধপরম্পরার অনুশীলনের দ্বারা আমরা সেই আহৃত জ্ঞানগুলিকে নব নব জ্ঞানস্বষ্টির কার্য্যে নিয়োগ করে থাকি । পুস্তকে আমরা যা পড়ি তাতে সংগৃহীত হয় নানা উপাদান এবং সে উপাদানগুলিও আমরা ব্যবহার করি ঐ