পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२¢ d` অধ্যাপক একই উপায়ে । আমাদের পরস্পরের বুদ্ধির মধ্যে একটা গতির পার্থক্য আছে । আমাদের পরস্পরের মস্তিষ্কের মধ্যে যে জ্ঞানবহী নাড়ীগুলি আছে সেগুলির বেগ সমান নয়। এই বেগ যেখানে বেশী সেখানে জ্ঞানস্থষ্টির চলে নূতন নূতন প্রক্রিয়া, কল্পনার সাহায্যে চলে ভাষাশিল্পের নূতন স্বষ্টি। কিন্তু কারুর কারুর হৃদয়ের মধ্যে অনুভবের সঙ্গে মিলিত হয়ে থাকে এমন একটি জারক রস যা জ্ঞানের পথে প্রতিবিম্বিত না হয়েও অতি সহজে উন্মুক্ত করতে পারে একটা নবোন্মেষের দ্বার । ভক্তি যেখানে হয়ে ওঠে প্রবল সেখানে ভক্তিভাজন সম্বন্ধে যুক্তিতর্কের আবশ্বক হয় না, সেই ভক্তিভাজনের যথার্থ স্বরূপটি স্বচ্ছ হয়ে দেখা দেয় সমস্ত আবরণকে ভেদ করে’ ভক্তের হৃদয়পটে । শাস্ত্রে একটি কথা আছে—ভক্তিজ্ঞ নায় কল্পতে, ভক্তি দেখা দেয় জ্ঞানরূপে । মা যখন ছেলেকে ভালবাসেন তখন তার সহস্ৰ কুপ্রবৃত্তির আবরণের মধ্য দিয়ে স্বাভাবিক স্বচ্ছ প্রেমের তারল্যে তিনি প্রবেশ করতে পারেন সন্তানের হৃদয়ের মধ্যে । তার দোষগুণের অন্তরালে রয়েছে তার স্বচ্ছ স্বরূপটি, সেটি অনায়াসে ধরা পড়ে তার চোখে । এমনি করে’ দরদ দিয়ে যারা দেখতে পারে তারা আনায়াসে পারে মামুষকে চিনতে, যদিও কেমন করে চিনল ভা তারা পারে না বলতে । তেমনি যারা হৃদয়কে মুক্ত করে দিয়ে বসতে পারে মহাকাশের নিম্নে ভক্তিনত হৃদয়ে, কোটি জ্যোতিষ্কেব আলো করেখা পড়ে গিয়ে তাদের হৃদয়ের উপরে, প্রকৃতি ব্যক্ত করেন তার অন্তরের রূপ সেই ভক্তের কাছে, জ্ঞানে নয়, অনুভবে । সেই অনুভবের বলে জুটেও যায় তার ব্যক্ত করবার ভাষা নিস্তারিণী দেবী ছিলেন এই প্রকৃতির নারী । দরদ দিয়ে দেখতেন তিনি সকলকে, তাই সকলেরই ছিলেন তিনি গুণপক্ষপাতিনী, দোষকে আড়াল করে’