পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨( 8 অধ্যাপক নিস্তারিণী দেবী বল্পেন—“যে কোন জিনিষের অর্থ বুঝতে হ’লেই সেটা বোঝা যায় তার ইতিহাসের মধ্যে—তার অতীত ইতিহাস ও তার ভাবী ইতিহাস । ইতিহাস পরম্পরা থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিলে কোনও বর্ত্তমান ক্ষণবিশেষের কোনও অর্থ বা তাৎপর্য্য পাওয়া যায় না । সমস্ত ঘটনাগুলো ছুটেছে একটা উদ্দেশু এবং ফলকে লক্ষ্য করে । প্রথম মুহূর্ত্তে যা থাকে উদ্দেশ্য পরের মুহূর্ত্তে তা হয় ফল । সেই ফল আবার ছোটে পরের মুহূর্ত্তের ঘটনাকে উদেশ্ব করে । দু'টি উদ্দেশ্বের মাঝখানে থাকে একটি ফল । এই উদ্দেশ্যের মধ্যেই ফলের তাৎপধ্য । উদ্দেশ্য দুটিকে বাদ দিয়ে কোন ফলের তাৎপর্য্য নির্ণয় করা যায় না ।” স্বজাতা বল্লে—“আমরা যে বিষয়ে আলোচনা করছিলুম তার সঙ্গে আপনার এ কথার সামঞ্জস্য কোথায় ?” জবাবে নিস্তারিণী দেবী বল্লেন—“মানুষ উঠেছে পশুলোক থেকে, কাজেই তার মধ্যে রয়েছে পশুলোকের দেহ এবং শুলোকের প্রবৃত্তি । মানুষ পশুলোকে থেকেও পশুলোককে অতিক্রম করেছে তার বুদ্ধি দিয়ে। পশুলোকের সঙ্গে সংগ্রামে সে এই বুদ্ধিকে ব্যবহার করেছে অস্ত্ররূপে। কাজেই এই বুদ্ধির মধ্যে নিহিত হয়ে রয়েছে পাশবিক প্রবৃত্তি ও পাশবিক চরিত্র । শুধু বুদ্ধি হিসাবে বুদ্ধির মধ্যে কোনও উচ্চতর আদশের দাবী নেই, কিন্তু মানুষ যে কেবলমাত্র বুদ্ধি অস্ত্রের স্বারা পশুলোককে অতিক্রম করেছে তা নয় । পশুলোক থেকে যে সে উচ্চতর আদর্শের জন্য প্রয়াণ আরম্ভ করেছে তার প্রমাণ পাওয়া যায় মানুষের অধ্যাত্ম চেতনাতে। সে অধ্যাত্ম চেতনা শুধু শুখদুঃখের শুধু হিতাহিতের বিবেচনা করে না, সে বিবেচনা করে একটা উচ্চতর আদর্শের। সেই উচ্চতর আদর্শ প্রকাশ পায় আমাদের ভাল মদ,