পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ૨૭(: না । সে একাস্তে গভীর রাত্রে অনেক সময়ে তার হৃদয়ের মধ্যে একটা হাহাকার অনুভব করত। সে হাহাকারের স্বরূপ সে বুঝতে পারে নি। একটা অভিযোগ ঘন মেঘের ন্যায় তার চিত্তকে মসীলিপ্ত করে দিত । কিন্তু যখনই চিন্তা করত তপনই দেখত এ অভিযোগের কোনও ন্যায়সঙ্গত কারণ নেই । সে যেভাবে চেয়েছিল সুজাতাকে, সুজাত কখনও সেভাবে তাকে প্রশ্রয় দেয় নি । তার বাল্যগত সংস্কার তাকে নিরস্তুর নিবিড় করে তুলত মুজাতার ছায়াশ্রয়ের জন্য । কিন্তু যখনই সে স্বজাতার কাছে এই বিষয়ের কোন ইঙ্গিত করেছে তখনই স্বজাত গেছে এড়িয়ে । হয় ত কাছাকাছি আরও অনেক থাকলে ঘটুতে পারত এমন অনেক সুযোগ যাতে মুজাতাকে আরও কাছাকাছি পাওয়া যেত । সুজাতার যখন বিপদের সময় তখন মুকুমার বাইরের লোকের মত দিয়ে এল তাকে কতগুলো অপ্রীতিকর উপদেশ । সেই উপদেশের কর্কশত৷ স্মরণ করে সে পীড়া অনুভব করত । কিন্তু কানাই লোকটা কে ? এর ত কোনদিন খোজ পাওয়া যায় নি । মঞ্জরী ত স্থজাতার এত বড় বন্ধু কিন্তু সে ত কোন দিন কানাইয়ের কথা কিছু বলে নি । পুলিশ যখন উদ্যত হ’ল সুজাতাকে মারতে তখন তারই ত উচিত ছিল লাফিয়ে পড়া । আবার ভাবলে, সে ত ছিল খানিকটা পিছনে, হঠাৎ লাফিয়ে পড়া চলত না । কিন্তু সে তার মনকে জিজ্ঞাসা করলে—সেদিন সামনে থাকলেও সে কি লাফিয়ে পড়তে পারত ? দ্বিধা করল তার মন জবাব করতে। কিন্তু পূর্বে ত এমন দিন গিয়েছে যে সময় সে অনায়াসে সুজাতার জন্য লাফিয়ে পড়তে পারত যে কোনও বিপদের মধ্যে । তবে কি তার মন শিথিল হয়ে এসেছিল সুজাতার প্রতি ? সে কথাও ত তার মন স্পষ্ট করে স্বীকার করতে পারে মা ! পদ্মানদী যখন পাড় ভাঙ্গে তখন সে জলবেগ টোকে সেই পাড়ের নিম্নতম বালুর