পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ゞ mo অধ্যাপক ভাবে যে তাকে পেয়েছে তার উপর হয় আমাদের ঈর্য্যা । তাই দু'জন উদীয়মান কবি বা উদীয়মান রাজনৈতিক বা দু’জন সমব্যবসায়ীর মনে আসতে পারে ঈর্ষ্যা, কিন্তু যখন একটা ভাব একজনের মনের মধ্যে শুধুই একটা উত্তেজক কল্পনাবিলাস অথচ অস্ফুট এবং সে চায় তাকে স্ফুটভাবে উপলব্ধি করতে কিন্তু প্রতিহত হয়ে আসে তার মন অস্ফুটতার অন্ধকারে, তখনই সেই অস্ফুটলোকের মূর্ত্তিকে যে তোলে স্ফুট করে তার জ্যোতিঃরেখায়, তাকে সে বন্ধুভাবে বরণ করে । এমনি করে দুটি হৃদয় পরস্পর সম্মুখীন হয়ে আসছিল । কিন্তু প্রভার দিকের গতিবেগ ক্রমশ: বেড়ে উঠল । সে একদিকে অভিভূত হ’ল স্বজাতার নারীপ্রকৃতিব কমনীয়তায়, সমস্ত মেয়েদের কথা স্মৰণ করে’ তার সহজ এবং অকৃত্রিম আর্ত্তিতে ; অপর দিকে সে তার মধ্যে প্রত্যক্ষ করল এমন একটা স্বচ্ছত যার মধ্যে লেশমাত্র নেই দম্ভ, লেশমাত্র নেই অভিমান । নেতৃত্ব যখন ক্রমে পৌঁছল তার হাতে, সে পূর্ণপাত্রের প্রতি তার বিন্দুমাত্র ছিল না লোভ। নেতৃত্বের প্রস্তাবে সে আপনাকে অসহায় মনে করতে লাপল । আর আত্মপ্রকাশের পথে ঐটিই হ’ল তার প্রধান বিপণ ও তার গতির প্রধান পরিপন্থী । এর সঙ্গে সে অনুভব করলে সুজাতার হৃদয়ের সর্ব্বত: প্রসারী স্বচ্ছন্দ বিলাসী প্রেমের স্নিগ্ধতা ও পবিত্রতার আকর্ষণ। সে মুহূর্তে হয়ে গেল তার পরম আত্মীয়। যেমন প্রদীপের তেলের সঙ্গে সলভেব থাকে একটা স্বাভাবিক সম্পর্ক যার ফলে সে সলতেকে দেয় পূর্ণ করে’ তার প্রতি রন্ধে, এবং একটা আকস্মিক অগ্নিকণাকে উপলক্ষ্য করে একটি স্নিগ্ধ দীপশিখা জলে’ ওঠে কুটিরের প্রশান্ত বাতাসে, তেমনি যেন এই দুটি হৃদয় তাদের আকস্মিক মিলনে মিলিত হ’ল । একটি হৃদয়ের স্নেহ অপরটিকে পূর্ণ করে তুলল রন্ধে রক্কে, ভেদ রইল না তখন