পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাধ্যাপক ২৭১ সলতেয় আর তেলে, ভেদ রইল না দুটি হৃদয়ে । তারা মিলিত হয়ে জ্বালাল একটি স্নেহের দীপ যার শিথার মধ্যে একে অপরকে পেল পরম আত্মীয় করে’ । স্বজাত যে কেন মুকুমারের কথা মঞ্জরীকে জিজ্ঞাসা করলে না, কেন যে তারই হাতে ভার দিলে না সুকুমারের দেখাশুনা করবার, তার জবাব হয়ত মুজাতা নিজেও দিতে পারত না । মূষিক যে কেন বিড়ালকে দেখে গর্ত্তের মধ্যে পালায় অথচ প্রকাগু একটা মানুষের কাছে লাফ দিয়ে যায়, তা মূষিক-মনের অগম্য। যিনি অন্তর্য্যামী, যিনি জানেন হৃদয়ের প্রতি গোপন পর্দায় অজ্ঞাতকে লক্ষ্য করে অক্ষুট নীহারিকার মেঘের ন্যায় অক্ষুট ভয়, আশঙ্কা, দ্বন্দ্ব প্রভৃতির লহর খেলে’ যায় এবং সঙ্গে করে নিয়ে আসে একটা আদিম প্রত্যয় বন্ধুতার বা শক্রতার, তিনিই বলতে পারতেন কেন মুজাতা মঞ্জরীকে ফেলে’ প্রভাব হাতে ভার দিলে সুকুমারকে দেখাশুনা করবার । চাকর এসে খবর দিল, "একঠো বিবি আয়ী হৈ ।” সুকুমার কিছুতেই মনে ধারণা করতে পারল না যে বিবিটি কে, কারণ একমাত্র মঞ্জরী এখানে আসত। কিন্তু সে আস্ত বিনা সংবাদে, বিনা এত্তেলায় । হয়ত এমন দিনও ঘটেছে যে সুকুমার নিশ্চিন্তু মনে পড়ছে, মঞ্জরী এসে পিছন থেকে ধরেছে তার চোখ টিপে । অবশ্ব আবিষ্কার করতে স্নকুমারের দেরী হ’ত না কারণ এই একটি মাত্র বান্ধবীরই এখানে হ’ত গতায়াত, তবু সে চাকরকে জিজ্ঞাসা করল, “৪ যো বিবি আর্তী হায়, ওহি বিবি ।” ভৃত্য বলল, “নেহী হুজুর, কুসরী।” “হল কামরামে বৈঠাও।” নিজে তাড়াতাড়ি উঠে গেঞ্জীর উপর একটা পাঞ্জাবী চড়িয়ে