পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

# অধ্যাপক ২৭৩ প্রভা বললে—“পুলিশ যখন তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেল, তখন সে একটিবার নিজের কথা ভাবে নি বা কারুর কথা ভাবে নি । তার মনে হয়েছিল শুধু আপনার কথা এবং আমাকেই সে বলেছিল আপনার দেখাশুনা করতে। আমাকে আপনি জানবেন তারই - প্রতিনিধি। আপনি আমাকে স্নেহ করেন না করেন তাতে কিছু যায় আসে না, কিন্তু আমার মধ্যে রয়েছে যে স্বজাত সে আপনাকে চাইবে সর্ব্বদা সুখী করতে। তবে আমি মেয়ে, সর্ব্বদা যদি আসতে না পারি, আপনি যাবেন আমাদের ওখানে যখন আপনার অবসর হয় । সেখানে আমার মা আছেন, ভাই আছে।” স্বজাত যে কোতোয়ালের দ্বারা ধৃত হওয়ার সময়েও তারই কথা চিন্তা করে একটা দারুণ বিপদের মধ্যে ঝাপিয়ে পড়েছে অথচ সর্ব্বক্ষণ সে ছিল একেবারে নিশ্চেষ্ট, তার নিজের এই দুর্ব্যবহারে সে অত্যন্ত পীড়া অনুভব করল । সে কিছুতেই স্থির করতে পারল না যে সে কি রকমে সহজভাবে প্রভার সঙ্গে আলাপ জমিয়ে তুলবে। এই প্রভা তার একান্ত অপরিচিত অথচ একমাত্র স্বজাতাকে স্বর্থী করবার জন্য সে অসঙ্কোচে এসেছে একজন অপরিচিত পুরুষের কাছে । স্থঞ্জাত কি তার ভালবাসার সঙ্গে সঙ্গে তার অসঙ্কোচটুকুও তার বন্ধুর মারফৎ পাঠিয়ে দিয়েছে ! তিনটি মেয়ের ছবি এক নিমেষে ভেসে উঠ ল স্বকুমারের মনে—স্বজাত, এই প্রভা আর মঞ্জরী । প্রভার মুখখানি কি স্নিগ্ধ, কি সারল্যে মণ্ডিত, কি সহজ ও স্বচ্ছ ! স্বজাতার কথা ভেবে কাজ নেই, সে আছে তার আপন কক্ষ জুড়ে, ধ্রুব নক্ষত্রের ন্যায় তার জ্যোতি স্নান অথচ স্থির । কিন্তু মঞ্জরী ? সে ত একলা নয় । সে একলাই যে এক লক্ষ । সে ত একটি গ্রহ বা তারার ন্যায় শুধু দীপ্তিতে ঝলমল করে না, তার গায়ে যে জড়ানো >br