পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ২৮৩ করতে চলেছে মন্থরগতিতে । তটভূমি ব্যাপ্ত করেছে সর্ষেক্ষেতের পীত পুষ্প, পীতবসন বনমালী যেন ক্লাস্ত হয়ে শয়ন করেছেন ধরণীর বক্ষে আর র্তার বংশীধ্বনি উদগীর্ণ হচ্ছে সুষির বংশরাজির মধ্য দিয়ে । কোথাও বা হংসমিথুন সিক্ত সৈকতে চঞ্চুপুটে উদ্ভিন্ন করছে তাদের শুভ্র পক্ষমালিকা, লীন হয়ে গেছে যেন তাদের ধবলতা পাণ্ডুর বালুতটের সঙ্গে । এই ভাগীরথী যখন নেমে আসেন হরিদ্বারের উত্তরে উপলবহুল শৈলমালার মধ্য দিয়ে, তার জল থাকে কাকচক্ষুর ন্যায় নির্ম্মল, ছন্ধের ন্যায় স্বাদু। সে জল আকণ্ঠ পান করলে মনে হয় মূর্ত্ত পুণ্যধারা যেন পান করছি । আজ সাগরের সম্মুখীন হয়ে এই অনাবিলতার ঋতুতেও ভাগীরথীর সে স্বচ্ছতা আর নেই, প্রবেশ করেছে সেখানে সুর্দ্দাম পঙ্কিলতা । মলিনতার বিসর্গে জগৎপাবনীর তীরস্থিত নরনারীর। তাকে করেছে বিষাক্ত, পঙ্কিল, কুমিজর্জরিত । অর্থগৃধ্র, যবনের কুৎসিং পণ্যযন্ত্র স্থাপন করে তার তটভূমি করেছে ধূমরেখাঙ্কিত, অন্তরের নিম্মল স্রোত যেন কলুষিত হয়ে উঠছে বিষাক্ত ধূমবাপে, বাসনার পঙ্কিল অবির্ত্তে, দক্ষিণ-সাগরের মন্দবাহী পবন জর্জরিত হচ্ছে মনুষ্যত্যক্ত বিষবর্জনে । ঠাকুরঘরে মাটির প্রদীপে বিশুদ্ধ গব্যস্থতে হাতে তৈরী করা সল্তেতে আমরা যে আরতির প্রদীপ জালি সে দীপশিখা ছায়ামস্থণতায় কোমল স্নিগ্ধ। ত গাঢ়কে প্রকাশ করে, করে তার অন্তররূপকে ব্যক্ত । ব্যক্ত ভাষার পিছনে যেমন দ্যোতিত হয় ব্যঞ্জনা তেমনি সেই আলোতে সূচিত করে ঠাকুরঘরের গভীরতা ও পবিত্রতা, সুচিত করে এ আলো আঁধারের মধ্য দিয়ে সেই অসীম দুজ্ঞেয় রহস্ত যা মন্দিরের দেবতাকে প্রতিষ্ঠিত করে ভক্তের হৃদয়াসনে প্রকাশের মধ্যে অপ্রকাশের মহিমা সেখানে হৃদয়কে উত্তানদীর্ঘ করে করে গভীরের