পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক RᏠr☾ মুকুমার মঞ্জরীকে জিজ্ঞাসা করল—“তুমি আমাকে কেমন ভালবাস ?” মঞ্জরী একটু গম্ভীরভাবে বল্লে—“যেমন ভালবাসে নদী সাগরকে, ছায়া আলোকে । এ ভালবাসায় গতিও আছে, স্থিতিও আছে, সাহচর্য্যও আছে, বিরহও আছে ।” স্বকুমার বল্লে—“আমি ত জানি ভালবাসায় বিরহ অসহ ।” মঞ্জরী বল্লে—“আমি ত বলি বিরহের আগুনে প্রেমের দুগ্ধরস আসে গভীর হয়ে, গাঢ় হয়ে, যেমন হয় ত হচ্ছে তোমার মনে স্বজাতার প্রতি প্রেম। তুমি ছাড়া আর কারুর সম্মুখীন আমি হই নি, আর এ পর্য্যন্ত বিরহের আস্বাদও আমি পাই নি। তাই দু’এক সময় মনে হয় যে নিরস্তর পেয়েও আমি যা পেলুম না কোনও সৌভাগ্যবতী হয় ত না পেয়েও তা’ পেয়েছে ।” মুকুমার বল্লে—“মুজাতার কথা বারবার তুলে তুমি আমাকে খোচা দাও কেন বল ত ? এমন বসন্তের স্নিগ্ধ আকাশকে মেঘকলঙ্কিত করে তোমার কি লাভ ?” মঞ্জরী বল্লে—“খোচা ত আমি দিই নি । যে খোচাট আমি নিরন্তর খাচ্ছি কোন কোন সময় অকস্মাং গিয়ে সেটা তোমার গায়ে ঠেকে, আর ঈশান কোণে যদি একটু মেঘের রেখা দেখা যায়, ভরা নদীতে যারা পাল চড়িয়ে চলেছে তারা সেটা উপেক্ষা করতে পারে না । চোখ বুজে থাকলেই সত্য অসভ্য হয় না। সত্য যত কঠোরই হোক, তার সম্বন্ধে সচেতন থাকা আবশ্যক।” স্বকুমার বল্লে—“তুমি মেঘের রেখা দেখলে কোনখানে ? মুজাতাকে আমি একদিন ভালবাসতুম, সেও আমাকে ভালবাসত। কিন্তু সে