পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ૨છrs পুরুষকে একাধিক বিবাহ করতে এক স্ত্রী বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও, নারীকে দেয় নি সে অধিকার । নারীর শুচিতা সম্বন্ধে পুরুষ অধিকতর সতর্ক, যেহেতু নারীই উৎপাদিক। সে যদি হয় ব্যভিচারিণী তবে স্বামীর ঘাড়ে এসে পড়ে আর একটা সংসার, যা বহন করতে সে দায়ী নয়। এই সামাজিক শৃঙ্খলকে শক্ত করে বঁাধবার জন্য এর উপরে ভার চাপানো হয়েছে ধর্ম্মের ও নীতিপরায়ণতা ও চরিত্রবত্তার । কিন্তু এটা হ’ল সম্পূর্ণ অন্য কথা । ভালবাসা মাত্রই চায় একনিষ্ঠ অধিকার বিস্তার, সেইটির যেখানে অভাব ঘটে সেইখানেই ভালবাসা আনে দুঃখ এবং ব্যথা । কিন্তু হৃদয় ব্যাপারের উপর সামাজিক তাগিদ চলে না । ইউরোপে যাকে বলে morality তার গণ্ডী নিবদ্ধ হয়ে আছে কর্ম্মের ক্ষেত্রের মধ্যে, চিন্তা বা হৃদয়ের ক্ষেত্রে নয় । কাউকে বধ করলে, মিথ্যা কথা বললে, মিথ্যা আচরণ করলে সেটাকে immoral বলা হয় কিন্তু জিঘাংসা, মিথ্যা প্রবৃত্তি, মানসিক কপটতাকে immoral বলা হয় না । কাজেই, কোনও ব্যক্তি যদি দু’জন, তিনজন বা চারজনকে ভালবাসে তবে সেটা immoral হয় না । বিবাহ একটা সামাজিক ব্যাপার, সে হিসাবে এটা পড়ে সামাজিক বিধিব্যবস্থার পদ্ধতির মধ্যে । এটা moralityর ক্ষেত্রের বাহিরে, আর যদি পড়েও unoralityর ক্ষেত্রের মধ্যে তথাপি সে ক্ষেত্র আবদ্ধ হয়ে রয়েছে দেহগত ক্রিয়ার মধ্যে । এই জন্য মনোগত বছনিষ্ঠতাকে immoral বলা চলে না । কিন্তু প্রেম করে হৃদয়ের বিচার, সেখানে একটি হৃদয় করে আর একটি হৃদয়ের উপর সর্বস্ব অধিকারের দাবী, সেটি ব্যাহত হ’লে আসে দারুণ দুঃথ বিপর্য্যয় ; কিন্তু তথাপি কারুকে দোষী করা কঠিন হয়ে ওঠে morality বা সামাজিক নিয়ম অনুসারে ।” >凉