পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক w ○ p @ স্বকুমার বল্লে—“এ কি গুরু তপস্যার ভার তুমি চাপাতে চাও আমার উপর ? এ যে আমার পক্ষে অত্যন্ত দুষ্কর হয়ে উঠবে ” মঞ্জরী বল্লে—“আমাকেও ত হতে হবে তপস্বিনী, ‘গ্রীষ্মে পঞ্চাগ্নিমধ্যস্থা বর্ষাস্থ স্থণ্ডিলেশয় । তেমন মহার্ঘ প্রেম আর তেমনই মহাপুরুষ পতি পেতে হলে ত তা’ রূপের আগুনে বা আকর্ষণের প্রদাহে পাওয়৷ যায় না । তপস্যার দ্বারা যে রূপ লাভ করা যায় সেই রূপই হয় অবন্ধ্য রূপ, তাই যোগীশ্বর করেছিলেন তপস্যা। আর পার্ব্বতী যখন রূপের দ্বারা তাকে বিলুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন তখনই এল মদনদাহের অভিশাপ, তাই পার্ব্বতী করলেন দারুণ তপস্যা, ফলে দগ্ধ মন্মথ হলেন পুনরুজ্জীবিত। আজকের এই পবিত্র দিনকে সাক্ষী করে’ কাল থেকে আমরা করব মদনদাহের ব্যবস্থা । আমি তোমার সহকর্মিণী, সহযোগিনী হয়ে পাঠিয়ে দেব তোমায় নূতন কর্ম্মের দীক্ষায় । তুমি যাবে ইউরোপে, সেখান থেকে আনবে নূতন খ্যাতি, নূতন যশ । তোমার প্রতি আমার যে বিশ্বাস, সেই বিশ্বাস হবে তোমার রক্ষণকবচ । অগণিত ইউরোপীয় সুন্দরীদের মধ্যে বিচরণ করেও অক্ষত কিশলয়ের ন্যায়, অনাস্ত্রাত পুষ্পের ন্যায় তুমি ফিরিয়ে আনবে তোমার অনঘ, অনর্ঘ চিত্ত, সেই পুষ্প দিয়ে করবে আমায় আশীর্ব্বাদ । আমিও প্রস্তুত হব তোমার জন্য । আমার কণ্ঠকে করব মাঞ্জিত সঙ্গীতবিদ্যার দ্বারা, যেন সেই কণ্ঠ চিরদিন করতে পারে তোমার বিজযুগৌরবের স্তুতিগান ।” স্বকুমার বিস্ময়প্রদীপ্ত চক্ষুতে কোলের কাছে টেনে আনল মঞ্জুরীকে, তার চোখের দিকে রইল চেয়ে । তার দু'টি চক্ষু দিয়ে ঝরতে লাগল যে দুগ্ধধারা, আকাশের জ্যোৎস্নাধারার ন্যায় সেই ধারা স্নান করিয়ে দিল মঞ্জরীকে । তার হৃদয়ের পাপাভিসন্ধি যেন তীব্র বেদনাতে সাড়া