পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ○o為 ...” সময় পড়ে গিয়ে খানায়, নিদিষ্ট বাধা পথের সন্ধান জানতে জীবনের অনেকখানি সময় যায় বৃথা কেটে । কিন্তু অবিনাশবাবুর বেলা ভিতরের আগুনের সঙ্গে কাজের চাকাগুলো লাগল সায় দিয়ে ঘুরতে এবং তারা ছুটতে লাগল বাধা লাইনের উপরে । তাই তার পথ হ’ল নিদিষ্ট এবং গতিবেগ হ’ল ক্রমশঃ দ্রুত থেকে দ্রুততর । অনেক লোক আছে যাদের প্রচুর বুদ্ধিপ্রাথর্য্য আছে অথচ তারা জানে না যে তাদের মনের ভারকেন্দ্রটি কোথায় । তাই চলতে গিয়ে বারবার হয় তাদের স্থলন পতন । তাদের মনকে তারা আবিষ্কার করতে চেষ্টা করে না, তাই বাইরের উত্তেজনা অনুসারে নিয়মিত হ’তে চায় তাদের গতি । ক্ষণে ক্ষণে হয় তারা দিগভ্রষ্ট । কলুর বলদ ঘানির চারিদিকে দিবারাত্র ঘুরেও ঘানিখানার বাইরে যেতে পারে না, তেমনি অনেকে ঘুরপাক খেতে থাকে নিজের চারিদিকে, কি করবে তা তারা নিজেরা জানে না এবং পথও খুজে পায় না, তাই কিছু পরিশ্রম করে’ পড়ে হতাশ হয়ে । বুদ্ধির প্রাথর্য্যে ও মেধাবিতার গুণে অনেকে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলি ঘোড়দৌড়ের ঘোড়ার মত লাফিয়ে পার হতে থাকে তখন বাইরের লোক অনেকসময় অকুমান করে যে এ ঘোড়া যেন কতই ছুটবে । কিন্তু পরীক্ষার burdle-race শেষ হবার পর সে ঘোড ধীরপদবিক্ষেপে ফিরে আসে তার আস্তাবলে, কারণ হয় ঐটুকু ছুটতেই তারা পড়ে নিস্তেজ হয়ে নয় ত পথ জানে না বলে’ আশ্রয় নেয় চিরবিশ্রামের । পরীক্ষা বিজয়ের মধুর ফলটি খোসা ছাড়িয়ে ছাড়িয়ে সারা জীবন বসে খেতে থাকে, অন্য ফলান্বেষণ করে না। কেবল পাথা চালাতে জানলেই কোন পাধী মানস সরোবরে গিয়ে পৌছতে পারে না, থাকা চাই তার পাখার বল, যে বল কখনও ক্লাস্ত