পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|ర్శిం অধ্যাপক হবে না । নিরস্তর চলবে তার পাথার ছন্দ । তার প্রতি ছন্দে পাগল হয়ে ছুটবে তার শক্তি, দিনরাত্রি নিরস্তর চললেও তার প্রয়োজন হবে না কোন বিশ্রামের । যে হংসের থাকে তেমনি পাখার জোর তারাই উড়ে যায় মানস সরোবরে, অন্য হংসের ডানা খুটে খুটো আপন সৌন্দর্য্য নিরীক্ষণ করে, পুকুরে কাটে সাতার এবং বাড়ীতে এসে ডিম পাড়ে ও তা দেয় । একজন প্রসিদ্ধ চিত্রশিল্পী বলেছিলেন যে অনেক শিক্ষার্থীরই ছবি অঁাকবার সাধারণ দক্ষতা আছে, হয় ত বা প্রতিভাও আছে, কিন্তু সে'ই হয় যথার্থ শিল্পী যে অতি সামান্য অসম্পূর্ণতাকে পূর্ণ প্রকাশ করবার জন্য আনন্দে করতে পারে অসীম পরিশ্রম । জ্ঞানসাগরের তীর্থযাত্রীর পক্ষে তাই আবশুক হয় প্রখর বুদ্ধি ও মেধা, অসীম ধৈর্য্য ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ক্ষমতা । সে'ই এই মানসিক পরিশ্রম করতে পারে যার দেহে থাকে অফুরন্ত বীর্য্য আর যার পরিশ্রমের প্রেরণা আসে একটা অসীম আনন্দের উৎস থেকে । কেবল উদ্দেশ্য সাধনের জন্য মানুষ পারে না কখনও অসীম পরিশ্রম করতে । নিজের চলবার ছন্দে যে আনন্দ পায় না সে চলতে চলতে পড়ে ক্লাস্ত হয়ে । সমস্ত জীবনের মূলে রয়েছে আনন্দ । আনন্দ থেকেই করতে পারি আমরা স্মৃষ্টি । প্রতি চলায় আমাদের ঘটে ক্ষয়, - সেই ক্ষয় যদি পূর্ণ না করে মনের আনন্দ তবে মানুষ কখনও পারে না অসীম পথ চলতে । গতির সঙ্গে যখন আসে আনন্দ, আনন্দের সঙ্গে যখন ফোটে গতি, তখনই মানুষ ছুটতে পারে দুরারোহের আরোহণে । জীবনীশক্তির যে স্বচ্ছন্দতায় মানুষ চলতে পারে তাকেই বলা যায় চরিত্র। চর’-ধাতুর অর্থ চল', আর চরিত্র অর্থ ‘যা দিয়ে চলা যায় । মানুষ চলে তার চিত্তের সহজ আনন্দের স্বচ্ছন্দতায় । যখনই কোনও বাইরের বস্তুকে অপেক্ষা করে কিংবা অন্য কোনও বস্তুর