পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ૨(t শোনাতাম । বেচারার পয়সা ছিল না যে কবিতা ছাপায় । বাংলাদেশে কবিতার বই কাটে বটে, তবে উইয়ে কিংবা ইদুরে । বিয়ের উপহার দেওয়া ছাড়া কবিতার বইয়ের প্রায় একটা কাটুতিই নেই । বেচারা হতাশ হয়ে বাবার কাছে মস্ত এক বাণ্ডিল কাগজের তাড়া রেখে গেলেন । বল্পেন—‘ছাপানো ত আর আমার ভাগ্যে ঘটবে না । আর ছাপাবার দরকারই বা কি ? কবিতা লিখেছি মনের আনন্দে, ঐখানেই ওর মূল্য গেছে শেষ হয়ে । কাজেই এর উপর আর কোন ফাউয়ের আশা করি না। আপনারা যখন বলেন যে আপনাদের এ কবিতা ভাল লাগে তখন এ কাগজগুলো আপনাদের কাছেই থাক। পড়ে যদি কখনো আনন্দ পান সেই হবে আমার চরম পুরস্কার । তারপরে তার কবিতা আমি অনেক সময় পড়েছি। অনেক কবিতা হয়ে গেছে আমার মুখস্থ । তার গানও তিনি সুর করে’ গাইতেন। সেই স্বরও আমার একটু একটু মনে আছে, তাই খানিকটা র্তার মত করে দুটো একট। গান গাই ।” "তা ত গাস, কিন্তু এত গান থাকতে ও রকম একটা গানই বা গাইবার মানেটা কি ? বেশ ত গাইতে পারতিস : র্তারে আরতি করে চন্দ্রতপন, দেব মমুজ বন্দে চরণ । কিন্তু তা না গেয়ে কে কোথায় তোমাকে গড়ে তুলছে আর তার গলায় মালা দিতে হবে এমন নতুন ঢঙের গান ত তোর কাছে বড় একটা শুনি না ; প্রেমচর্চা ত তোমার পক্ষে একটা taboo !” স্বজাত হো হো করে হেসে উঠল । বল্লে—“গান করছি ত গান করছি । কোন গান গাইব আর কোন গান গাইব না তার কি একটা নিয়ম আছে নাকি ?”