পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক * 8 צ9א তার এই তাল রাখার সামঞ্জস্যটুকু বজায় রাখার জন্য, তার সম্মুখের গতি হয় ব্যাহত। সম্মুখের আদর্শ যখন তাকে প্রবলভাবে টানে তখনই সে ছুটতে থাকে মানস সরোবরের দিকে, নইলে সে হয় ত আকাশে ওড়ে বটে কিন্তু সে ওড়া ওড়ার জন্য নয়, সে ওড়া ভূমিস্থ আহারের লোভে । সে ওড়া ক্ষণিক ওড়ার আনন্দের লোভে, তাই সে ওড়া নিরস্তর নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে ভূমিলোকের সঙ্গে । তা তাকে মুক্ত করে’ দেয় না অবাধ সঞ্চায়ের দিকে, তাই যখন মানুষ করে কেবল জ্ঞানের বিলাস, জ্ঞানকে করে যখন সে তার পার্থিব ভোগ সাধনের উপায়, তখন সে জ্ঞান দিতে পারে না তাকে বিমল আনন্দ, যে আনন্দ নির্বাধ পক্ষীকে অনন্ত আকাশের মধ্যে মানস সরোবরের দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে। এইখানেই ঘটে চরিত্রের দ্বন্দ্বের সমাধান, চরিত্রের রহস্তের উদঘাটন । অবিনাশবাবুর ছিল এই ধরণের একটা চরিত্রবত্তা। তার প্রকৃতির মধ্যে এমন একটা কিছু ছিল যা তাকে বেঁধে রাখত না একটা গণ্ডীর মধ্যে, ছেড়ে দিত মুক্তির একটা প্রশস্ত গণ্ডী থেকে আর একটা প্রশস্ততর গণ্ডীর মধ্যে । মানুষের চরিত্রের মধ্যে যে জাতীয় সামঞ্জস্তের কথা উপরে বলা হয়েছে যথার্থভাবে কল্পনার দ্বারা প্ল্যান এটে কেউ সেভাবে চলতে পারে না । সেটা হ’ল চরিত্রের একটা উপাদান । কাক ওড়ে, দোয়েল ওড়ে, ফিঙ্গে ওড়ে, বক ওড়ে, চিল ওড়ে, শকুনি ওড়ে, পায়রা ওড়ে, চক্রবাক ওড়ে, বকেরা উড়ে যায় সারি বেঁধে । চেয়ে দেখলে দেখা যাবে যে যদিও সকলে ডান মেলে’ ওড়ে তথাপি তাদের প্রত্যেকের ওড়ার ভঙ্গী একেবারে পৃথক । ছোট যাদের ডানা, অল্প একটু বাতাস তারা কাটতে পারে তাদের ডান দিয়ে, তাই বারবার দিতে হয় তাদের ডানার দোলা ৷ চিল, শকুনি প্রভৃতি বড়