পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, অধ্যাপক ">。 জীবনে তাকে বহন করা যায় না, সে হয় দুর্ব্বহ । যে আহরণকে আমরা আত্মীয় করে নিয়ে আমাদের জীবনলীলার সঙ্গে সঙ্গত করে’ প্রকাশ করতে পারি সেই আহরণই আমাদের চিত্তভূমির মধ্যে প্রবাহিত হয়ে চিত্তভূমির জীবনকে করতে পারে রসসিক্ত। সেই আহরণের মধ্যে আছে যে পুষ্টি সে পুষ্টি বিকীর্ণ হয়ে পড়তে পারে আমাদের চিত্তলোকের মধ্যে এবং করে তুলতে পারে তাকে বলিষ্ঠ ও পুষ্ট । যে আহরণ থাকে এক কোণায় পড়ে, সমগ্র চিত্ত-সঞ্চয়ের মধ্যে যা প্রবাহে পারে না স্রোতের মত ছুটে চলতে, সে আহরণ আমাদের চিত্তলোককে সঞ্জীবিত করতে পারে না । রক্তস্রোত যদি থাকত হৃদয়ের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে, মুহূর্ত্তে দেহ যেত অসাড় হয়ে । আমাদের রক্তস্রোতের মধ্য দিয়ে আমাদের আহৃত খাদ্যের পুষ্টি সঞ্চারিত হচ্ছে আমাদের শরীরের মধ্যে, তাই শরীরের প্রত্যেকটি জীবকোষ হয় পুষ্ট । তেমনি প্রত্যেকটি আহত জ্ঞান যখন চিত্তের জ্ঞানস্রোতের মধ্যে আপন স্রোতকে মিলিত করতে পারে তখনই সেই জ্ঞানধারার দ্বারা সঞ্জীবিত ও পুষ্ট হতে পারে আমাদের চেতনালোক। আত্মপ্রকাশের চেষ্টা না থাকলে চেতনার মধ্যে এ প্রবাহলীলা সম্পন্ন হয় না, জ্ঞান থাকে অসম্পূর্ণ। অবিনাশবাবুর মধ্যে জ্ঞানের এই দু’টি দিকই ছিল সমান জাগ্রত । তিনি লিখতেন বিস্তর কিন্তু প্রকাশ করতেন অতি কম । এ সম্বন্ধে কি কারণে যেন তার একটা স্বাভাবিক লজ্জা ছিল, ছিল একটা স্বাভাবিক বিনয় । সর্ব্বদা সঙ্কুচিত বোধ করতেন নিজের মতকে চালু করে দিতে বিশ্বের দরবারে। র্তার সকল সময়েই মনে হ’ত যে সম্পূর্ণভাবে যাচাই না করে নিজের মত বাইরের জগতে প্রকাশ করবার একটা গভীর দায়িত্ব আছে । তার সেইজন্য মনে হ’ত যে