পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক Sペ> জাতীয় আহার গ্রহণ করে থাকে, কিন্তু শরীরে তাকে গ্রহণ করবার পূর্ব্বে তাকে পরিণত করে নিতে হয় শর্করাতে, মধুর রসে । জ্ঞানের মধ্যে থাকে যা প্রকট হয়ে, ব্যক্ত ও বিষ্পষ্ট হয়ে তার সাংস্থানিক রূপ : নিয়ে, অনুভবের মধ্যে তাই প্রকাশ পায় একটা মধুর রসাস্বাদের মধ্যে । সেইখানেই জ্ঞান পরিণত হয় ভাবের মধ্যে এবং এই ভাব থেকেই চিত্ত পায় তার পুষ্টি । এমনি করে চলছিল অবিনাশবাবুর জীবন । তিনি কাজ নিয়েছিলেন একটা কলেজের অধ্যক্ষের । পিতা তাকে বিবাহ দিলেন এক ধনী ব্যারিষ্টারের কন্যার সহিত । অবিনাশবাবু বড় হয়ে উঠেছিলেন পড়ার বাতাসে । দেবতাদের কোথাও ভুলচুক হয় না এ কথা সর্ব্বত্র ঠিক হ’লেও একেবারে যে সর্ব্বত্র ঠিক নয় সে কথা অবিনাশবাবুর অন্তর্য্যামী জানতেন । পৃথিবীর নানা নরনারী নিয়ে পঞ্চশর বোধ হয় এত ব্যস্ত ছিলেন যে এই লোকটি সম্বন্ধে তার কর্তব্য তিনি গিয়েছিলেন ভুলে । অবিনাশবাবু আর সমস্ত বিষয়েই ছিলেন অতিমাত্রায় সজাগ, কেবল অনবধান ছিলেন এই পঞ্চশর সম্বন্ধে । জীবনে স্ত্রী সন্নিকর্ষের কোন অভাব তিনি বোঝেন নি এবং সেই একটি নিরীহ জীবের সন্নিকর্ষে জীবনব্যাপী যে কি অনর্থপাত ও বিপ্লব ঘটতে পারে সে সম্বন্ধে অবিনাশবাবুর বিন্দুমাত্রও ধারণা ছিল না । পুরুষ ছাড়া নারী কিছুই নয়, সে শূন্য মাত্র, কিন্তু সেই শূন্তটি যতই পুরুষকে বায়ে ঠেলে ভাইনে এসে দাড়ায় ততগুণ যে তার অনর্থশক্তি বাড়তে পারে, গণিতের এই অধ্যায় সম্বন্ধে এখনও কোনও গাণিতিক কাজ করে দেখান নি । অবিনাশবাবু ছিলেন পিতার একমাত্র পুত্র এবং তার পিতা ছিলেন বংশরক্ষায় বিশ্বাসী প্রাচীন হিন্দু। বিবাহ করতে রাজী না হ’লে পিতাপুত্রে হ’ত একান্ত বিচ্ছেদ । আর বিবাহ করতে কেন যে R 3