পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२br অধ্যাপক একেবারে ক্ষেপে। অবিনাশ বাবু নিলেন একান্তভাবে লাইব্রেরীতে আশ্রয়। নানা রকমে প্রতিভা দিতে লাগল তাকে কষ্ট । সময়ে অসময়ে নানা ছুতায় বর্ষণ করত অশ্রাব্য গালিগালাজ, প্রচার করতে আরম্ভ করল র্তার নানা কুৎসা এবং একদিন যখন প্রভাতে তিনি একান্ত অসহায়ভাবে নিদ্রোখিত, তখন করলে তাকে বেদম প্রহার । তিনি দেখলেন যে এ ভাবে থাকলে তার জীবন নিরাপদ নয়, তখন তিনি ‘সলিসিটর’এর সঙ্গে বন্দোবস্ত করে স্ত্রীকে স্বতন্ত্র মাসোহারার ব্যবস্থা করে নিয়ে নিজে অন্যত্র থাকবার বন্দোবস্ত কবলেন । এই হ’ল অবিনাশবাবুর পারিবারিক জীবনের অবসান। কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে তিনি ছিলেম ছেলেদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় । নিজের পড়াশুনা থেকে বাচিয়ে যতটুকু সময় তিনি পেতেন, তার সমস্তটুকু তিনি ব্যয় করতেন ছেলেদের পিছনে। এমনি করে’ ছেলেদের সঙ্গে গড়ে উঠছিল তার একটা গাঢ় গ্রন্থি । একবার একটা কলেজে ছেলেদের উপর হয় পুলিশের অত্যাচার । তাদের সহানুভূতি দেখাতে গিয়ে তার কলেজের ছেলেরা ও করলে ধর্ম্মঘট । অবিনাশ বাবু কলেজে গিয়ে দেখেন একটিও ছেলে নেই । তিনি পরদিন দিলেন বিজ্ঞাপন যে যে সব ছেলের তার সঙ্গে কথা না বলে’, পরামর্শ না করে নিজেদের খেয়ালের বশবর্ত্তী হয়ে ধর্ম্মঘট করেছে, তাদের তিনি শাসন করবেন । ছেলেরা ডাকলে একটা বিরাট সভা, করলে র্তার মনোভাবের বিরুদ্ধে একটা কঠিন প্রতিবাদ । কাগজে কাগজে বেরুল ক্রর মন্তব্য । অবিনাশ বাৰু দিলেন সাজার হুকুম রদ করে । কিছুদিন বাদে ছেলেদের এক সভা ডেকে তিনি তাদের বল্লেন যে দীর্ঘকাল ধরে তিনি তাদের সঙ্গে ষে বন্ধুতা দেখিয়েছেন, যে পুত্রবৎ ব্যবহার করেছেন, সে ব্যবহারের মর্য্যাদা করেছে তার ধ্বংস ।